হে স্বাধীনতা,
সেই যে সকিনা বিবির কপাল ভেঙেছিলো,
তা আর জোড়া লাগে নি কখনো।
হে স্বাধীনতা,
ফাঁকা সিঁথি তে পার হয়ে গেলো
আরো পঞ্চাশটি বছর সেই হরিদাসীর।
হে স্বাধীনতা
যে রস্তম শেখের ফুসফুস পোকার দখলে ছিলো
কেউ খবর রাখে নি
তার ছেলে কি পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সুবিধা?
নাকি তার ফুসফুসেও বাসা বেঁধেছে
বস্তির পাশের সে কালো নদীর বিসাক্ত বাতাস?
হে স্বাধীনতা,
তারা আজো তোমায় ভালোবাসে,
যাদের প্রিয়জন কেড়ে তুমি
রক্ত খচিত
এক টুকরো লাল সবুজের পতাকা দিয়েছিলে।
হে স্বাধীনতা
তুমি এসেছিলে বলে
নড়বড়ে পায়ে ছোট্ট শিশুর হাতেও আজ
লাল সবুজ পতাকা।
তরুণরা সেজেছে আজ লাল সবুজে।
হে স্বাধীনতা,
তুমি এসেছিলে বলেই
প্রতিটি প্রজম্মের স্কুলের স্মৃতিতে
জড়িয়ে আছে,
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”
হে স্বাধীনতা,
তুমি অম্লান, তোমার মনচিত্রে
সে কালো রক্তের দাগ
যাতে খচিত আছে লাখো শহীদ
লাখো বীরঙ্গনার তেজি রক্ত।
হে স্বাধীনতা
তোমার মানচিত্রের সে রক্তের দাগ
মুছতে পারবে না
কোন শতাব্দী সেই ইতিহাস।
হে স্বাধীনতা
তুমি এসেছো বলেই
আজ আমি বাঙালি,
হে স্বাধীনতা
তুমি আমার গর্ব, আমার অহংকার।