ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল বৃষ্টি হয়েছে নগরে। গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী এ বৃষ্টিতে পেয়েছে স্বস্তি। তবে কোথাও কোথাও জলজট হওয়ায় ভোগান্তিও ছিল। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় নগরে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে এ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
হালকা এ বৃষ্টিতেও শহরের কয়েক জায়গায় কোথাও হাঁটু এবং কোথাও গোড়ালিসমান পানি জমে জলজট সৃষ্টি হয়। দুই নম্বর গেইট, বাকলিয়া ডিসি রোড, চকবাজার কাপাসগোলা, ফিরিঙ্গিবাজারসহ নিচু এলাকায় জলজট হয়েছে।
চকবাজার আবদুল হাকিম শাহ লেনের বাসিন্দা সরোয়ার দৈনিক আজাদীকে বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি এসে জলজট হয়েছে। মুহাম্মদ আলী শাহ দরগারহ লেইনের বাসিন্দা আবদুল হামিদ আজাদীকে বলেন, রাত ৮টার দিকেও পানি জমেছিল। এদিকে চশমা খালে বাধ থাকার কারণে দুই নম্বর গেইট এলাকায় জলজট হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদশীরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, আজ চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত (পুনঃ), ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।