জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঢেউ এসে পড়েছে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপের অন্যতম নৌ রুট কুমিরা-গুপ্তছড়ায়। সরকারি নির্দেশনার আগেই এ নৌ রুট দিয়ে যাত্রী পারাপারের অন্যতম মাধ্যম স্পিডবোট ও সার্ভিস বোটের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্পিডবোটের ভাড়া ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০০ টাকা। এছাড়া সার্ভিস বোটের ভাড়া ১৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০ টাকা। হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে স্পিডবোট ও সার্ভিস বোটের ভাড়া এক দফা বাড়িয়েছিল ঘাট ইজারাদার। তখন স্পিডবোটের ভাড়া ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৩০০ টাকা। এখন আবার ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৬ মাসের মধ্যেই স্পিডবোটের ভাড়া ১৫০ টাকা বৃদ্ধি করায় সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন চাকুরিজীবীরা, যারা প্রতি সপ্তাহে দুবার করে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম যাওয়া আসা করেন। মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম নামে এক যাত্রী ক্ষোভ জানিয়ে দৈনিক আজাদীকে বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির হেতুতে নৌ পরিবহনে যাত্রী ও মালামাল পারাপারে সরকারি নির্দেশনার আগে অতি উৎসাহী চক্র স্পিডবোটের ভাড়া বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এ ঘাট কর্তৃপক্ষ প্রায় একযুগ এভাবে লুটপাট করে খেয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষদের উপর অযৌক্তিক ভাড়া চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা জানে এ ঘাট ছাড়া দ্বীপের মানুষের কোনো উপায় নাই। তাই সুযোগ বুঝে এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আকবর হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলেন, বিষয়টা অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও নানা বিড়ম্বনায় প্রতিদিন সন্দ্বীপে যাওয়া-আসা করছে। এর মধ্যে বিগত ছয় মাসে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি সন্দ্বীপের মানুষের জন্য নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম।
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ ঘাটের পরিচালক জগলুল হোসাইন নয়ন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ডিজেল অকটেন ও মবিলসহ পার্টসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঘাটে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও বেড়েছে। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে স্পিডবোট ও সার্ভিস বোটের ভাড়া বাড়িয়েছি।