স্পষ্ট কথা, রাস্তায় সমাবেশ করতে দেব না : ডিএমপি কমিশনার

| বৃহস্পতিবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১০ জানুয়ারি জনসভা করতে চাইলে বিএনপিকে কোনো মাঠেই যেতে হবে, সড়কে কোনো সমাবেশ করতে দেবে না পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযানের পর এমন কঠোর বার্তা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যেতে না চাইলে বিকল্প হিসেবে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ, পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলা মাঠ দেখান তিনি।

আগামী শনিবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থান নিয়ে গত কয়েকদিন টানাপড়েন চলছে। বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার অনুমতি দিয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে নারাজ বিএনপির নেতা-কর্মীরা জনসভার তিন দিন আগে নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। খবর বিডিনিউজের।

সেই অভিযান চলার মধ্যে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন খন্দকার ফারুক।

তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে ওই সমাবেশে বিএনপি ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাবে। নয়া পল্টনে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ হাজার লোক ধরবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়লে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতেই পুলিশ তৎপর জানিয়ে তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ এটা হতে দিতে পারে না। এর আগে বিভাগীয় শহরগুলোতে যে সমাবেশ হয়েছে তার কোনটাই রাস্তায় হয়নি, সবগুলোই হয়েছে মাঠে।

বিএনপিকে বিকল্প ভাবার পরামর্শ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি, কিন্তু পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি যে তারা সেখানে যেতে আগ্রহী নয়। আমরা তাদের টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলা মাঠের প্রস্তাবও দিয়েছি, যেখানে ১০ লাখ লোকের জায়গা হওয়া সম্ভব। তাতে বিএনপি রাজি না হলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কথা সুস্পষ্ট, তারা রাস্তায় সমাবেশ করতে পারবে না। খোলা মাঠে তাদের সমাবেশ করতে হবে।

আর তা না হলে আইনানুগভাবে যতখানি কঠোর হওয়া যায় ততখানি হবে পুলিশ। বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের মধ্যে ইতোমধ্যে একজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে। কার্যালয় থেকে বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মীকে ধরে নিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার ফারুক বলেন, আমি তখন একটা মিটিংয়ে ছিলাম, আমরা ব্যাপারটা দেখছি। কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সোয়াট সদস্যরা : নয়া পল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে সোয়াট দলকে দেখা গেছে। রাজনৈতিক সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে বিশেষায়িত অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সোয়াটকে নামানোর কারণ জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেখানে অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা শুনেছি সেখানে চাল, ডাল, লাকড়ি জড়ো করা হয়েছে। তাই নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সেখানে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধমামলা হামলা চালিয়ে বিএনপির গণজোয়ার রোধ করা যাবে না