সীতাকুণ্ডে পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে ফল বিক্রেতা স্বামীকে নৃশংসভাবে খুনের মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, রিমা বেগম, শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম ও শাহাদাত হোসেন। গতকাল চট্টগ্রামের ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এ সময় তিন আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কান্তি দাশ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তিন আসামির মধ্যে শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম ঘটনার পর থেকে কারাগারে আছেন। বাকী দুজন রিমা বেগম ও শাহাদাত হোসেন জামিন নিয়েছিলেন। এখনো সেটি বহাল রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের তেলীপাড়া এলাকায় ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল ফল বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা মিয়াকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। কেটে ফেলা হয় তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ। এ ঘটনায় জয়নালের ভাই মো. মহিউদ্দিন সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজহারে তিনি লিখেন, জয়নাল একজন ফল ব্যবসায়ী। হালিশহরে তার দোকান ছিল। সব সময় ব্যবসা নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকতেন। এই সুযোগে দুই সন্তানের মা রিমা আক্তার আসামি শাহাদাত হোসেন কাইয়ুমের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানিও হয়। এ নিয়ে হওয়া বেশ কয়েকটি সালিশী বৈঠকে রিমা বেগমকে সাবধান করা হয়। কিন্তু তিনি নিজেকে শুধরাননি। মামলার এজহারে আরো বলা হয়, করোনা মহামারি তখনও চলছিল। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বাড়িতে সময় কাটাচ্ছিলেন জয়নাল। ঘটনার দিন রাতের দিকে কাইয়ুমসহ আসামিরা রিমা বেগমের সহযোগিতায় ঘরে ঢুকে জয়নালকে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। কুপিয়ে কুপিয়ে তার নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে। এছাড়া তার পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ কেটে ফেলা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি তদন্ত করেন সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. সাজিব হোসেন। তদন্তে তিনি শাহাদাত হোসেন নামের অপর একজনকে খুঁজে পান। বলা হয়, এই শাহাদাত হোসেনও জয়নাল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। একপর্যায়ে একই বছরের ২৬ অক্টোবর শাহাদাত হোসেন, শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম ও রিমা বেগমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।












