পুঁজিবাজার সূচক কমে বাড়ল লেনদেন

| শুক্রবার , ১২ মে, ২০২৩ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

পুঁজিবাজারে মাসের পর মাস তলানিতে পড়ে থাকার পর চলতি সপ্তাহে প্রথমে বস্ত্র, এরপর সিমেন্ট এবং শেষ কর্মদিবসে বীমা খাতের আড়মোড়া ভাঙতে দেখা গেল। খাতওয়ারী লেনদেনের শীর্ষে যেতে না পারলেও চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে তা। শীর্ষ তিন খাত ছিল খাদ্য, ওষুধ ও রসায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তি। তবে কোনো খাতেই এককভাবে একশ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি, যদিও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে কিছুটা। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যতগুলো কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে, বেড়েছে তার চেয়ে বেশি। তবে টানা দুই দিন বৃদ্ধির পর কিছুটা কমেছে সূচক। লেনদেনে আবার উল্টো চিত্র। আগের দিন লেনদেন প্রায় শতকোটি টাকা কমে গেলেও এদিন বেড়েছে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ক্রমেই পড়তে থাকা পুঁজিবাজার গত মাসের শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। শুরুতে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে। তবে চলতি সপ্তাহেই খাতওয়ারী আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।

৫৮ কোম্পানির বস্ত্র খাতে গত সোমবার লেনদেন হয় একশ কোটি টাকার বেশি। টাকার অঙ্কের হিসাবে সেদিন খাতটি উঠে আসে শীর্ষে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকাতেও দেখা যায় এই খাতের প্রাধান্য। পরের দিন আগ্রহ বাড়ে সিমেন্ট খাতের প্রতি। শীর্ষে উঠতে না পারলেও কয়েকটি কোম্পানির আয় বৃদ্ধির তথ্যে শেয়ার কেনাবেচা বাড়ে অনেকটাই। সেদিনের পর তিন কর্মদিবসে বস্ত্র খাতের লেনদেন আর শত কোটি টাকার ঘর ছুঁতে পারেনি। তবে আগের মতো সব শেয়ারের ক্রেতা না থাকার বিষয়টি আর দেখা যাচ্ছে না।

সিমেন্ট খাতে অবশ্য মঙ্গলবারের পরে দুই দিনই আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে। তার বীমার দুটি অংশের মধ্যে আগ্রহ তুলনামূলক বেশি বেড়েছে সাধারণ বীমায়। এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে ৮৪টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি, ৭৬টির পতনের দিন আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৯৭টি কেম্পানির শেয়ার। সব মিলিয়ে তালিকাভুক্ত ৩৯৩টি কোম্পানির মধ্যে ক্রেতা ছিল ৩৫৭টির। ৩৩টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে আছে নিষেধাজ্ঞা।

চলতি বছর এক দিনে এত বেশি সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়নি এর আগে। সূচক পতনের দিন লেনদেন হয়েছে আটশ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই। আগের দিন তা ছিল ৭২১ কোটি টাকা।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে সাধারণ বীমা খাতের ৪১টি কোম্পানিতে কোনো দিন ১৫ কোটি টাকার নিচে, কখনও কোনো রকমে ১০ কোটি টাকা পার হতো এই খাতের লেনদেন। বৃহম্পতিবার এক লাফে তা উঠে যায় ৩৮ কোটির কাছাকাছি। বেড়েছে ২৩টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে দুটির আর ১৬টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। একটি কোম্পানিতে কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপদত্যাগের দাবিতে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির কুশপুত্তলিকা দাহ
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীসহ প্রেমিকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন, বিচার শুরু