স্ত্রীসহ টিআই নজরুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সেই কোটিপতি টিআই (টাউন ইন্সপেক্টর) মীর নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহানা সুলতানার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল বুধবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি করেন একই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন। মামলায় মীর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৪৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৩৮ লক্ষ ৪ হাজার ৩৭৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার কথা উল্লেখ করা হয়। আরেক মামলায় তার স্ত্রী শাহানা সুলতানা ও টিআই নজরুলের বিরুদ্ধে ৮৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৬১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
টিআই নজরুল টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর গ্রামের মীর আবুল মাসুদের ছেলে। চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন পদায়নের সুবাধে তিনি দামপাড়া চাঁনমারী রোডের নর্দান কমর গার্ডেন নামের অ্যাপার্টমেন্টে সপরিবারে বসবাস করেন। মীর নজরুল ইসলাম বর্তমানে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে কর্মরত। দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক আরিফ সাদিক চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই দৈনিক আজাদীতে “দুদকের জালে স্ত্রীসহ ১২ পুলিশ কর্মকর্তা” শীর্ষক প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে মীর নজরুল ইসলামসহ আরও দুই টিআইয়ের নাম উঠে আসে। তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল টিআই মীর নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। এতে ঢাকার সেনপাড়া পর্বতায় দুই দাগে ৭.২৯ কাঠা নাল জমি, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দুই দাগে ২৬ শতক জমি, একই এলাকায় ৬শ ফুটের বাউন্ডারিসহ ২৩শ বর্গফুটের একতলা ভবন, নগরীর লালখান বাজারে ১৮৬ বর্গফুট ভিটি জমি, ১৪২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ ৫২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩শ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে শাহানা সুলতানা তার ঘোষিত সম্পদ বিবরণীতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দৌলতপুর মৌজায় নয় দাগে ৮৯.৭৫ শতক জমি, ঢাকার তুরাগে ৩ কাঠা প্লট, হালিশহরে ১১.৪৩ কাঠা জমি, নাটোরের লালপুরে ৩১.২৫ শতক জমি, উত্তর হালিশহরে ০.৪০১৬ শতাংশ জমি, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১৯ শতক জমি মিলে মাত্র ২৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩২ টাকার স্থাবর সম্পদে বিনিয়োগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সম্পদ বিবরণীতে কিছু সম্পত্তি হেবামূলে ও পত্তন মূলে অর্জন করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন, তবে ওই সম্পদে তাদের কোন বিনিয়োগ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধআনন্দযাত্রায় নেমে এল বিষাদ