নোট আর গাইড বই কোনো ব্যাপার না। শিক্ষাটা পরীক্ষামুখী হয়ে গেছে। শিক্ষা জিনিসটা স্কুল থেকে কোচিং সেন্টারে চলে গেছে। বইয়ের চেয়ে নোট বই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষকের চেয়ে কোর্স গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। লেখাপড়ার চেয়ে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। জ্ঞানের চেয়ে সনদপত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। এই যে বদল হয়ে গেছে, আমাদের দোষে হয়েছে। আমরা করতে দিয়েছি, এই জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার নন্দনকানন ফুলকি এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও আদর্শ অর্জনে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা শীর্ষক সেমিনারের কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের মহাপরিচালক ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফ ইমাম আলি বলেন, সমাজকাঠামোর ভিন্নতার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রেও পার্থক্য বিদ্যমান। বাংলাদেশে শিক্ষা এখনও সমাজকাঠামোর ওপর একটি নির্ভরশীল চলক, যেখানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিষয়ক সুযোগ-সুবিধা ও অর্জন তাদের পরিবারের আর্থসামাজিক মর্যাদা দ্বারাই নির্ধারিত হয়। ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন হয়েছে। তবে তা গুণগত মানের বিচারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শিক্ষাকে সময়-উপযোগী করে যৌক্তিকভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা সময়ের দাবি।
সেমিনারে অংশ নেন, রবীন্দ্রকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ্তা দত্ত, বাকলিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সিরাজুদ্দৌল্লা, যশোর সরকারি মাইকেল মুধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খ ম রেজাউল করিম, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মো. মজনুর রশীদ, রাঙ্গুনিয়া হাসিনা-জামাল ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্ত, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক কানাই দাশ ও আগ্রাবাদ চিলড্রেন গার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ আফিয়া হাসান মীরা প্রমুখ।












