সোয়াত জাহাজ অবরোধস্থলে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

| শুক্রবার , ২৬ মার্চ, ২০২১ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

এমভি সোয়াত অবরোধ দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৫০ বছর আগে এই দিনে চট্টগ্রামের শ্রমিক কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ সুদৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে জনযুদ্ধের সূচনা করেছিল, যার সফলতা আসে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পন ও ১৬ ডিসেম্বরের চূড়ান্ত বিজয়ে। তারা বলেন, পাকিস্তানী সৈন্যরা যখন এদেশের মুক্তিপাগল জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র নিয়ে আসে তখন পাকিস্তানি সেনা অফিসার জানজুয়ার নির্দেশে বাঙালি সেনা অফিসার জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যান। তবে নগরীর আগ্রাবাদে জনতার প্রতিরোধের মুখে তিনি পিছু হটেন এবং ফিরে আসেন। এর পর পরই হানাদার বাহিনীর গুলিতে অনেক নিরস্ত্র বাঙালি হতাহত হয়। সেসব ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বন্দর এলাকার অবরোধস্থলে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য বক্তারা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’ এর উদ্যোগে সংগঠনের সহ-সভাপতি যদু সিংহের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণলাল আচার্যের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন কমান্ডার ডা. মাহফুজুর রহমান। নগরীর চেরাগী মোড়ে কদম মোবারক স্কুল প্রাঙ্গণে ২৪ মার্চের এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বন্দর সিবিএ নেতা আবদুর রহমান সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজল, অধ্যক্ষ আবদুল মালেক, শ্রমিক নেতা নুরুল কাদের, সাংবাদিক আশীষ চৌধুরী, সজল চৌধুরী, টিটো শীল, পংকজ কুমার দস্তিদার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাস্ক না পরায় নিউ মার্কেট এলাকায় ১৬ জনকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধমাস্ক না পরার শাস্তি ‘মাইকে অন্যকে সচেতন করা’