সোনার বাংলার অভিযাত্রী শেখ হাসিনা

এডভোকেট সালাহ্‌উদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু | সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

৭৪তম শুভ জন্মদিনে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গীপাড়ার গ্রামে মধুমতি নদীর অববাহিকায় নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথমে ঢাকার টিকাটুলিতে নারী শিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ১৯৬৭ সালে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় হতে এইচএসসি এবং ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি পাশ করেন। তৎকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য, রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক, সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ভিপি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুরের অধিবাসী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানি ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দাম্পত্যজীবনে পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল জন্মলাভ করেন।

অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রথমবার ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারি এবং তৃতীয়বার ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি, চতুর্থবার ২০১৯ সালের ০৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করে।

শেখ হাসিনা একজন নির্মোহ, নির্লোভ নারী এবং তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন। আত্মপ্রত্যয়ী ও দৃঢ়চেতা নারী ক্ষমতার গন্ডির মধ্যে থেকেও তিনি ক্ষমতার ভোগ বিলাসিতায় মত্ত হননি। শেখ হাসিনা ভীষণ পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান ও ধর্মপরায়ন নারী। তার কাছে নেই কোন ক্ষমতার অহংকার, দম্ভ ও গৌরব। গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি, নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা তা আমি নিজে বানিয়ে খাই। ছোটবোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। আমরা নিজেরা করে খাই। তার আগে বিছানা থেকে ওঠার আগে নিজের বিছানাটা নিজে গুছিয়ে রাখি। এরপর বইটই যা পড়ার পড়ি।

পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, তারপরও আমার বাড়িতে গৃহপরিচারিকা যারা আছে, কারো কাছে যদি এক গ্লাস পানিও কখনও চাইতে হয়, তাদের জিজ্ঞাসা করি, আমাদের একটু এটা দিতে পারবে? এই শিক্ষাটা বাবা দিয়ে গেছেন। এখনও মেনে চলি। আমরা সবাইকে সমানভাবে সমাদর করি। বরং যাদের কিছু নেই তাদের দিকে একটু বেশি নজর দিই। দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নয়, আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে ইতিমধ্যে বিশ্বমত ও নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে তিনি সক্ষম হেেয়ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতির পিতার ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা। আজকের শুভদিনে প্রিয়নেত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজন্মদিনে শুভেচ্ছা
পরবর্তী নিবন্ধএমিল জোলা : বৈরী স্রোতের শিল্পী