সেন্টমার্টিন দ্বীপ আমাদের সম্পদ এটি রক্ষার দায়িত্বও আমাদের

| বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ। বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্ব দক্ষিণে এর অবস্থান। সমুদ্র সৈকত আর সমুদ্রের বিরামহীন গর্জন যেন নীল রঙের রাজ্যে পরিণত করেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে ৯কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত ছোট এ দ্বীপটি। যার আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ১২০ প্রজাতির পাখি, শামুক- ঝিনুক, সামুদ্রিক শৈবাল, গুপ্তজীবী উদ্ভিদ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। মনোরম প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। কিন্তু বর্তমানে দেশে একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নানা কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার পর্যটক ভিড় করছে ছোট এই পর্যটন এলাকায়। এবং স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা রয়েছে ৯ হাজার। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে দ্বীপটি যে কোন সময় সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর সামপ্রতিক বিরল জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। যা দ্বীপ সৈকতে অযান্ত্রিক বাহনে চলাচলে, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা, দ্বীপের চারপাশে নৌ ভ্রমণ, জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের উপর হাঁটা, জাহাজ থেকে পাখির খাবার দেওয়া, রাতে আলো জ্বালানো, রাতে হৈ চৈ বা উচ্চৈঃস্বরে গান বাজনা করা, পার্টি, ফানুস ওড়ানোর মতো বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তাই এই বিষয়ে সকল পর্যটকদের দায়িত্বশীল ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত স্থাপনা উচ্ছেদ, সৈকতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো.সাইমুন
দোহাজারী পৌরসভা, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলহত্যা দিবস: ইতিহাসের কালো অধ্যায়
পরবর্তী নিবন্ধঘুষ প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে