সেন্টমার্টিন ঘুরে গেলেন ঢাকাস্থ চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের জেটি দিয়ে স্পীড বোট মেটাল সার্কযোগে সেন্টমার্টিন রওয়ানা দেন তারা। সেখানে পৌঁছে রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা দ্বীপের সৈকত ও বিভিন্ন সৌন্দর্য অবলোকন করেন। এদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, জাপানের ইতো নাওকি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্লস হোয়াইটল ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, সকালে চার দেশের রাষ্ট্রদূত সেন্টমার্টিন সফরে আসেন এবং বিকালে দ্বীপ ত্যাগ করেছেন।সোমবার পৃথক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন সফরের কথা উল্লেখ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটল। দ্বীপরে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রাষ্ট্রদূত ইতো লিখেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছি। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ জোয়ার, লবণাক্ততা এবং প্রবাল বিনষ্টের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণের এই দ্বীপের পরিবেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুত প্রভাব ফেলেছে। এটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে। ইইউর রাষ্ট্রদূত টুইটে লিখেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি বাস্তবতা। উল্লেখ্য, চার দেশের রাষ্ট্রদূতরা গত ৭ নভেম্বর থেকে কঙবাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন। ৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।