বয়সের বিস্তর ব্যবধানের কারণে তাঁর কাছে যাওয়াটা খুব কঠিন ছিল। দূর থেকে তাঁর দ্যূতি পেয়েছি। কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে অগুনিত তারার প্রভায় মন ভালো হয়ে ওঠার মতোই ব্যাপারটি। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদর প্রতিও ছিল আমাদের তারার মুগ্ধতা। তাঁকে বেশির ভাগ দেখেছি চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ আলোকিত করা এক মানুষ হিসেবে। সেসব অনুষ্ঠানের বেশির ভাগই আমার ভূমিকা ছিল দর্শকের। উনি বলতেন আমরা শুনতাম। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক এমনকি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তিনি বক্তব্য দিতেন, যেখানেই যেতেন সেখানেই ছিলেন মধ্যমনি। মঞ্চ আর দর্শকের আসনের আনুষ্ঠানিক সেই সংযোগের বাইরে কখনো কখনো একেবারে খুব কাছে গিয়ে দাঁড়াতে পেরেছি। সালাম দিয়েছি। তিনি সেই সালামের জবাব এমনভাবে দিতেন যেন আমাকে কতদিন আগে থেকে চেনেন।
নিজে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে, প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার পর পাশাপাশি বসে কথা বলারও সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকবার। এমনকি একই সঙ্গে মঞ্চেও উঠেছি। দর্শকসারিতে বসে যে মানুষটার বক্তৃতা শুনতাম মুগ্ধ হয়ে, তার পাশে বসা এবং বক্তৃতা দিতে বুক কাঁপত। কিন্তু বক্তব্য দেওয়ার আগে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত আন্তরিক অকৃত্রিম আলাপে ভয়টা চলে যেত। একবার খেলাঘরের এক অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর আসনটির পাশেই বসেছিলাম। আমি ছিলাম খুব আড়ষ্ট এবং দ্বিধাগ্রস্ত। সালাম দিতেই উনি কুশল জানতে চাইলেন। তিনি আমাকে আপনি সম্বোধন করলেন। তাঁর দেহভঙ্গিতে এবং কথার মেজাজে ছিল বিনয়। আমি বললাম, ছোটবেলা থেকে আপনার বক্তৃতা শুনে বড় হয়েছি। আপনার সামনে কিছু বলা আমার জন্য সত্যিই পরীক্ষার মতো। তিনি আমাকে চমকে দিয়ে চট্টগ্রামের ভাষায় বললেন, ‘অনারা আঁরার ভবিষ্যৎ, অনারার কলমত ধার আছে। হতো সুন্দর সুন্দর ছড়া লেহন, অনারা ছড়ার ছন্দ আঁরার জাতির অন্ধকার দূর গরিবু। (আপনারা আমাদের ভবিষ্যৎ, আপনাদের কলমে ধার আছে, কত সুন্দর সুন্দর ছড়া লেখেন। আপনাদের ছড়ার ছন্দ আমাদের জাতির অন্ধকার দূর করবে) তাঁর এই কথাগুলো মন্ত্রের মতো মুহূর্তে আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলল, ভেতরের সব ভয় লজ্জা, দ্বিধা কেটে গেল। আমার কাছে এটা ছিল একটা বিশাল পুরস্কার প্রাপ্তির মতো। যিনি আমার নাম জানে কিনা বুঝতে পারছিলাম না, তিনি আমাদের ছড়ার কথা বলছেন। আমি অবাক হলাম যে তিনি তরুণদের এতটা খবর রাখেন।
১৯৭৬ সাল কি ৭৭ সাল। তখন আজাদী অফিস ছিল আন্দরকিল্লায়। কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসের ভবনে। ৭৬ কি ৭৭ সাল। ঠিক মনে নেই। আমরা নন্দনকাননের শাপলা শালুকের আসরের একটা নিউজ দিতে গিয়েছিলাম। নিউজটা লিখে পাড়ার কয়েকজন ছেলে মিলে গিয়েছিলাম আজাদী অফিসে। তখন কাউকে চিনতাম না। একটা ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যে মানুষটাকে পেয়েছি তাঁর হাতে ফুলস্কেপ কাগজে লেখা প্রেস বিজ্ঞপ্তিটা দিয়েছিলাম। তিনি কাগজে চোখ বুলিয়ে আমার দিকে মুখ তুলে জানতে চাইলেন, অনুষ্ঠান কোথায় হয়েছে?
আমি তৎক্ষণাত জবাব দিলাম আমাদের পাড়ার বিল্ডিংয়ের ছাদে।
তিনি বললেন ছাদে করেছ, বেশ বুঝলাম। কিন্তু ছাদটা কোথায়? প্রশ্নটা শুনে আমি বোকা বনে গেলাম। বলেছিলাম- ছাদটা বিল্ডিংয়ের উপরে।
উনি কিন্তু তখনও রেগে যাননি। হুট করে আমার হাত ধরে বললেন, বিল্ডিংটা কোথায়? মানে তোমরা কোন এলাকা থেকে এসেছ?
এবার আমি বুঝতে পেরেছি তিনি আসলে কী জানতে চাইছেন, আমি ঝটপট উত্তর দিলাম, নন্দনকানন, রথের পুকুর পাড়ে। আমাদের সামনেই উনি কাগজটা একজনকে দিয়ে চট্টগ্রামের ভাষায় বললেন, ওবা, পোয়াচার নিউজগান এক্কানা দিই দিয়ু। অচেনা কিছু তরুণের ভুল বানানে ভরা, অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে লেখা প্রেস বিজ্ঞপ্তিটা পরের দিন শুদ্ধ করে ছাপা হয়েছিল। যে লোকটার হাতে আমি প্রেস রিলিজটা দিয়েছিলাম, যিনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ।
একজন পত্রিকা সম্পাদকের নামের আগে কেন অধ্যাপক থাকবে সেটা নিয়ে আমার কৌতূহল ছিল। পরে তাঁর জীবনের বৃত্তান্ত জেনে বুঝলাম, সাংবাদিকতার তাঁর প্রথম পেশা নয়। আগে তিনি নিয়োজিত ছিলেন শিক্ষকতায়। যুক্ত ছিলেন রাজনীতিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ছিল অসামান্য।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাংবাদিকতায় নিয়োজিত থাকলেও কেন জানি মনে হয় জীবনের প্রথম পেশা শিক্ষকতার একটা প্রভাব তাঁর জীবনে সবসময় ছিল। তিনি শুধু সাংবাদিকতা করেননি। সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন অনেককে। তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছিলেন তখনকার চট্টগ্রামের বাঘা বাঘা সব সাংবাদিক। তিনি নিজের আচরণে নতুনদের শিখিয়েছিলেন বিনয়ী হতে, দেশপ্রেমী হতে। তাঁর সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে তিনি সঞ্চার করতে পেরেছেন অসাধারণ কিছু গুণ। ক্ষমতার হাত ধরে উপরে ওঠার চেষ্টা তিনি করেননি। আশ্চর্য নির্লোভ আর নির্মোহ থেকেছেন। আর এসব স্বভাবের কারণেই সমাজের একটা বড় উঁচু আসনে পৌঁছে গেছেন অনায়াসে। একটা অঞ্চলের প্রধান কাগজ আজাদীর সম্পাদক হিসেবে সমাজ, দেশ, ব্যক্তির প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ দায়বোধ। তিনি এমন এক সময় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন যখন পত্রিকা প্রকাশ হতো একটা মিশন হিসেবে। পুঁজির বিস্তার কিংবা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে বড় শিল্পের কাতারে যায়নি পত্রিকা তখন। পত্রিকা ছিল তখন আদর্শের মুখপত্র। সেই সময়ের একজন পত্রিকা সম্পাদকের অন্যতম কাজ ছিল সমাজ ও রাষ্ট্র কল্যাণ, মানুষকে সত্য জানানো। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সেটি শতভাগের বেশি পূর্ণ করেছেন। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী এই পত্রিকাটি পাকিস্তানের শাসকবিরোধী আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যে সাহসী ভূমিকা রেখেছিল, তা মোহাম্মদ খালেদের মতো সম্পাদক ছিলেন বলে। তিনি সাংবাদিক এবং সম্পাদক হিসেবে কেমন ছিলেন তা বিচার করা আমার মতো পরবর্তী প্রজন্মের সাংবাদিকের বিচার করা কঠিন। তবে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং চট্টগ্রামের মৌলিক সংস্কৃতির সঙ্গে যে পত্রিকার সংলগ্নতা রয়েছে একেবারে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠের মতো সেই পত্রিকার সম্পাদকের মূল্যায়ন ইতিহাসের নিরিখে আপনাআপনি হয়ে যায়। আমি সেই ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বলি তিনি ছিলেন এক ঐতিহাসিক সম্পাদক। দিন যতই এগুচ্ছিল, তাঁর বয়স যতই বাড়ছিল, আজাদীর প্রসার এবং প্রচার যতই বাড়ছিল, তাঁর দীপ্তি ততই বাড়ছিল, তিনি ততই উজ্জ্বলতম হয়ে উঠছিলেন তারকা হিসেবে। তিনি আমাদের চট্টগ্রামের তারকা।
সততা ও ন্যায়পরায়ণতা শব্দগুলো তিনি শুধু বক্তব্যে উচ্চারণ করতেন না, তিনি সেগুলো আক্ষরিক অর্থে ধর্মের মতো ধারণ করতেন নিজের ভেতর। ভান এবং হঠকারিতা তিনি পছন্দ করতেন না। একবার মুসলিম ইনস্টিটিউ মিলনায়তনে ‘আমরা ধূমপান নিবারণ করি’ (আধূনিক) নামে এক সংগঠন আয়োজিত ধূমপান বিরোধী অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন প্রধান অতিথি। আমি ছিলাম সেই অনুষ্ঠানের একজন দর্শক শ্রোতা। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন প্রায় বিরতিহীন ধূমপায়ী। আমি খুব কৌতুহলী ছিলাম প্রধান অতিথি এ বিষয়ে কী বলেন। তিনি বক্তৃতা দিতে ডায়াসে এসে প্রথমে অনেকক্ষণ চুপ ছিলেন। তারপর বললেন, ‘এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নয়, একজন শ্রোতা হিসেবেও আসার যোগ্যতা আমার নেই। এখন এই ডায়াসে দাঁড়িয়ে আমার নিজেকে একজন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামির মতো মনে হচ্ছে। কারণ আয়োজকেরা যে ধূমপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে, আমার অবস্থান তার বিরুদ্ধে। আমি ধূমপান ছাড়তে পারিনি’। নিজের এই অকপট স্বীকারোক্তি আমাকে সেদিন মুগ্ধ করেছে। বহু দিনের আগের ঘটনা। তার পুরো বক্তব্য আমার মনে নেই, তবে সেদিন তিনি যা বলেছেন তার মোটামুটি সারমর্ম এরকম – আরও অনেক বছর আগে যদি এই আন্দোলন শুরু হতো তখন হয়তো আমার মতো একরকম ধূমপায়ীর সংখ্যা আরও কম হতো। এই আন্দোলন ছড়িয়ে যাক।
তিনি ছিলেন সুবক্তা। আমি কৈশোর ও তারণ্যের বেলায় অধ্যাপক রণজিৎ চক্রবর্তী, রাজনীতিবিদ আসহাব উদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সংগীতজ্ঞ ও লেখক ওয়াহিদুল হক, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, রাজনীতিবিদ অশোক সাহার বক্তৃতার ভক্ত ছিলাম খুব। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ অবশ্য বক্তৃতা দিতে বাছবাছাই করতে পারতেন না। চট্টগ্রামে মানুষের আবদার তিনি ফেলতে পারতেন না। দোকানের ফিতা কাটার জন্যও তাকে নিয়ে গিয়ে ধন্য হতেন তারা। তিনি দুনিয়ার তাবৎ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতেন। ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব বিষয়ে প্রায় বিশেষজ্ঞের মতো মতামত দিতেন। তখন মনে মনে অবাক হতাম একটা মানুষ এত বিষয়ে জানেন কী করে? তখন তো আর গুগল কিংবা অন্তর্জালে খোঁজ করে তথ্য জেনে নেওয়া যেত না। কোনো কিছু জানতে হলে পড়াশোনা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। পত্রিকার সম্পাদনা, সামাজিক সৌজন্য রক্ষা, পরিবার সামলানো, বক্তৃতা দেওয়া সব করতেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি করতেন পড়ালেখা। এই পড়ালেখাই তাঁকে জ্ঞানী এবং পণ্ডিত বানিয়েছে। এর জন্যই তিনি সমাজের মানুষের মানী হয়েছেন। চিরস্মরণী হয়েছেন।
সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনে, প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের সময়, জাতীয় রাজনীতি নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কদাচিৎ কথা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁর সঙ্গে কথা হতো মাঝে। এত বিনীতভাবে তিনি কুশল জিজ্ঞাসা করতেন আমার লজ্জা লাগত। একবার এক ঘটনায় উদারতার এক অনুপম উদাহরণ দেখিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার কথা ভোলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একবার নদীর ওপারের একটি গ্রামে বৃক্ষরোপণ অভিযানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। এরকম বড় মাপের কেউ একই মঞ্চে থাকলে ছোট বক্তার ওপর মানসিক চাপ পড়ে। আমারও তাই হয়েছিল। তারপরও আমি দুরুদুরু বুক নিয়ে সেদিন আমাদের প্রতিবেশ নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম, তা ছিল খুব সংক্ষিপ্ত। ভেবেছিলাম যতই কম বলব, ততই ভুল কম করব। তা ছাড়া মনে হয়েছিল উপস্থিত শ্রোতারা আসলে প্রধান অতিথির বক্তব্য শুনতে এসেছেন। আমি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে তাঁর পাশের চেয়ারে আসতেই তিনি আমাকে কানে কানে বললেন, খুউব ভালা হইয়ুন অনে। (আপনি খুব ভালো বলেছেন)। তরুণদের সমস্ত দোষ ত্রুটিকে অগ্রাহ্য করে এভাবেই তিনি প্রেরণা দিতেন। কিন্তু একজন পরিবেশবাদী হিসেবে সেদিন তাঁর বক্তব্যে অনেক কিছু শিখলাম। তিনি বক্তব্যে পরিবেশ সম্পর্কে পৃথিবীর সর্বশেষ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে এক অসাধারণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। মনে হচ্ছিল শহর থেকে দূরে একটি গ্রামের কলেজের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে নয়, আমি যেন পরিবেশ বিষয়ে একটা আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসেছি।
সেদিন অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলাম তাঁর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্যের প্রশংসা করলাম। উনি খুব বিনয়ের সঙ্গে আমাকে বললেন, না না, আঁরা কী আর জানি? আঁই তো পরিবেশ বিজ্ঞানী নঅ। সাধারণ গেয়ানুত্তুন যা হনর হইদি এরি। (না না, আমি আর কী জানি? আমি পরিবেশ বিজ্ঞানী নই। সাধারণ জ্ঞান থেকে যা বলার বলেছি।) পরদিন আজাদী পত্রিকার পেছনের পাতায় ছাপা হলো অনুষ্ঠানের বিস্তারিত খবর। সেখানে আমার বক্তব্যের উদ্ধৃতি আর ছবিও ছাপা হয়েছে একটি। তবে সেটি প্রধান অতিথির ছবি নয়, আমার মতো একজন সাধারণ বক্তার। নিজের ছবি না ছেপে তিনি প্রকাশ করলেন একজন তরুণের। তাঁর এই উদারতা থেকে সেদিন সাংবাদিক হিসেবে অনেক বড় একটা শিক্ষা পেলাম। সেই শিক্ষা আমি ভুলিনি। ভুলব না।
লেখক : কবি, কথাশিল্পী, সাংবাদিক