বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদের আরও একটি বাসার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। আর সেই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এছাড়া রিয়াদ ও তার সহযোগীরা অন্য কোথায় কোথায় চাঁদাবাজি করেছে সেই বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, রিয়াদের আরেকটি ভাড়া বাসার খোঁজ পেয়েছি আমরা। শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে রিয়াদ ও তার সহযোগীরা যে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছিল, তার মধ্যে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার ভোরে বাড্ডার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা রিয়াদের আরও চাঁদাবাজির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। গত ২৬ জুন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল কালাম আজাদের গ্রিন রোডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান রিয়াদ ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী। মব তৈরির হুমকি দিয়ে তাঁর গলায় জুতার মালা পরানোর ভয় দেখানো হয়। এরপর আজাদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার চেক ও একটি জমির দলিল নেন রিয়াদ। নবম জাতীয় সংসদের রংপুর–৬ আসনের এমপি ছিলেন আজাদ। এদিকে, রিয়াদের ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে ছাত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। এই সংগঠন হওয়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ফেব্রুয়ারিতে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল, সেই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল রিয়াদকে। ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাখালপাড়ায় রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।+