সেই অস্ত্রটি কার?

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ জুলাই, ২০২১ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর শেখেরখীলে নুরুল কাদের নামের এক দিনমজুরকে মারধর করে অস্ত্রদিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জব্দ হওয়া অস্ত্র ও চার রাউন্ড গুলির বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে পুলিশ। গত ৭ জুলাই বিকেল পৌনে তিনটার দিকে বাঁশখালীর নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিনের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানীয় দিনমজুর নুরুল কাদেরকে মারধর করে ডাকাত সাজিয়ে একটি এলজি ও চার রাউন্ড গুলি দিয়ে আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করে। ভিকটিম নুরুল কাদের শেখেরখীল সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
আলোচিত ওই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নুরুল কাদেরকে ফাঁসানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওইদিনই থানা থেকে আহত নুরুল কাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এরপর পুলিশের পরামর্শে নুরুল কাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে ১০ জুলাই শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিনকে প্রধান আসামী করে হামলার মারধরের অভিযোগ এনে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করে। তবে মামলার এজাহারে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও অস্ত্র আইনে মামলা হয়নি। মামলার অন্য আসামীরা হলো, মো. ইকবাল (২৬), আলী হোসেন (৩৫), নুরুল কাদের মাঝি (৩৫), মো. ছকির (৫০), মো. বাদশা মিয়া (৪২), মো. রিয়াজু (৪২) ও মো. শহিদ উল্লাহ (৩৬)। এদিকে গতকাল রোববার বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জব্দকৃত অস্ত্রের উৎস ও অস্ত্রের মূল যোগানদাতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন হামলার শিকার নুরুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠ বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তার মা, স্ত্রী, বোন ও দুই সন্তানও উপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী শেখেরখীলে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবীর রোববার রাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘অস্ত্রটি উদ্ধারের সময় কার দখলে ছিল সেটা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে ঘটনায় নুরুল কাদের জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের লোকজন অস্ত্রটি দিয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিষয়টি এখনো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্রটি নিয়ে নিশ্চয়ই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বাঁশখালী থানার ওসি সফিউল কবীর দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘নুরুল কাদেরকে মারধর করার বিষয়ে ইয়াসিন চেয়ারম্যানসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্ত চলছে। জব্দ হওয়া অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে আদালতকে অবগত করা হয়েছে। এজন্য পৃথক তদন্তও চলছে।’
এ বিষয়ে মো. ইয়াসিন গতকাল রাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন নুরুল কাদেরকে অস্ত্রসহ ধরে আমার হাতে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। স্থানীয় রাজনীতিতে আমার প্রতিপক্ষরাই আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধইভ্যালি কেন পণ্য দিচ্ছে না নোটিশ দেবে মন্ত্রণালয়
পরবর্তী নিবন্ধগোয়ালপাড়া থেকে ছয় ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার