সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রথম রায়ের অপেক্ষা

| মঙ্গলবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক দুর্নীতি মামলার মধ্যে প্রথম একটির রায় দিতে যাচ্ছে সেনাশাসিত দেশটির একটি আদালত। সোমবার এই রায়ে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির শীর্ষ নেত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

গত বছরের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে উসকানি, উৎকোচ নেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় আইন লংঘনসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সব মামলার রায় মিলিয়ে তার সাজা দেড়শ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

এখন পর্যন্ত দুটি ছোটখাট অপরাধে সু চি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সাজা মিলেছে ৬ বছরের। তার বিরুদ্ধে যত মামলা সবগুলোর বিচার শেষ হতে কয়েক বছর লাগতে পারে। এসব মামলা ও সাজা পাড়ি দিয়ে মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে পরিচিত মুখটির ফের রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র বলেছে, সোমবার যে মামলার রায় হচ্ছে, তাতে বিচারক সু চির বিরুদ্ধে মোট ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ হিসেবে নেওয়ার অভিযোগ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

ইয়াংগনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে সু চি ওই অর্থ ও সোনা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ফিও মিন থেইনকে একসময় সু চির উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি সু চিকে ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। সু চি যে এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টিভিতে আলাদাভাবে তা প্রচারও করা হয়েছে।

৭৬ বছর বয়সী সু চিকে অজ্ঞাত এক স্থানে আটকে রাখা হয়েছে, তাকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারফুরে পশ্চিমাঞ্চলে সহিংসতায় ‘নিহত অন্তত ১৬৮’
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার তেলের ডিপোতে আগুন