সুবর্ণে স্বাধীনতা সমুজ্জ্বল কবিতা

সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের উৎসব শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩১ মার্চ, ২০২২ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

কবিতা অনুভব করতে হয়। আবৃত্তিশিল্পীর কাজ হলো কবিতার মজ্জায় মিশে গিয়ে কবির ভাবটাকে অনুধাবন করা এবং তা নিপুণ দক্ষতায় শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করা। সেদিক থেকে কবিতা বিমুখ যারা, তাদের মধ্যে কবিতার প্রতি প্রিয়তা ফিরিয়ে আনেন আবৃত্তিশিল্পীরাই। এদেশের কবিরা জনগণকে জাগানোর ক্ষেত্রে অসাধারণ কিছু সৃষ্টি করে গেছেন। তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন আবৃত্তি শিল্পীগণ। আবৃত্তি অনেক বেশি সফল সাংস্কৃতিক শক্তি। মেলা ও উৎসবের মধ্যেই বাঙালি খুঁজে পায় প্রাণের স্পন্দন। ‘সুবর্ণে স্বাধীনতা, সমুজ্জ্বল কবিতা’ শিরোনামে গতকাল বুধবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়া দুইদিনের বর্ণাঢ্য আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধনী দিনে অতিথিবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রামের গৌরবের ৩০ বছরে পদার্পণ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসব শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে শুরু হয় জোটভুক্ত ২৩টি সংগঠনের শত শিল্পীর সমবেত ‘জন্মভূমি পূণ্যভূমি’ শিরোনামে বৃন্দ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। সাংবাদিক ও আবৃত্তি শিল্পী ফারুক তাহেরের রচনায় এটির নির্দেশনা দেন আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী। এর পরপরই আকাশে রঙিন বেলুন উড়িয়ে উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, আবদুল হালিম দোভাষ, মিলি চৌধুরী এবং জোটের সহ সভাপতি সাইফ চৌধুরী। জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, জোটের সহ-সভাপতি ফারুক তাহের। আবৃত্তিশিল্পী অনির্বাণ চৌধুরী ও ঐশী পালের উপস্থাপনায় এরপর উৎসবে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে উচ্চারক, মুক্তধ্বনি, বৈখরী, একুশ মানবিকতা ও আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, চবি আবৃত্তি মঞ্চ, শৈশব বাচিক চর্চা কেন্দ্র।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন, তুর্ণা ধাম (বোধন), সাফা মারওয়া (তারুণ্যের উচ্ছ্বাস), পূজা ভট্টাচার্য্য (বৈখরী), সুপ্রিয়া চৌধুরী (চট্টলা), মো. সেলিম ভূঁইয়া (স্বদেশ), অনন্যা দাশ (প্রহর), বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর (দৃষ্টি), সুমনা চাকমা (অক্ষর), রেজিয়া সুলতানা শ্রাবনী (উদীড়ন), আসাদ উজ্জ্বল (চট্টগ্রাম আবৃত্তি একাডেমি), ইকবাল হোসেন জুয়েল (প্রমিতি), নীহারিকা পাল (প্রত্যয়)।
দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন অঞ্চল চৌধুরী ও অনন্যা চৌধুরী, কারিশমা কবির ঐশী ও এএসএম এরফান, সন্দীপন সেন একা ও স্নিগ্ধা বড়ুয়া, সানজিদা রহমান ও মেরেলিন এ্যানি।
আজ উৎসবের সমাপনী দিনে বিকেলে রয়েছে বর্ণিল শোভাযাত্রা। এরপর আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালি এবং সাংবাদিক-শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। রয়েছে জোটভুক্ত সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে একক দ্বৈত ও বৃন্দ আবৃত্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফুলেল ফুড ও মক্কা হোটেলকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধপাইকারিতে নিম্নমুখী ধারায় ভোগ্যপণ্যের বাজার