সীতাকুণ্ডে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শীতকালীন হরেক রকমের পিঠা–পুলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ব্যতিক্রমী এ পিঠা উৎসবের আয়োজনে করা হয়। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সাথে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম।
প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড সাংস্কৃতিক পরিষদের সভানেত্রী সুরাইয়া বাকের, কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি এম. হেদায়েত উল্ল্যাহ, এম সেকান্দর হোসাইন, সহ–সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সদস্য খাইরুল ইসলাম ও পৌরসদর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, রোকেয়া খাইরুল প্রমুখ। ব্যতিক্রমী এ পিঠা উৎসবে পিঠা–পুলির মধ্যে ছিল পাটি সাপটা, ভাঁপা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধচিতই, দুধপোয়া, ঝালপোয়া, মালপোয়া, সেমাই পিঠা, ডিম পিঠা, মাংস–ঝাল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুটি পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ছিটা পিঠা এবং সুজির হালুয়া। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম জানান, পিঠা–পুলি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন গ্রামবাংলার বহুকালের পুরনো রীতি হলেও এখন আর তেমনটা চোখে পড়েনা। এক সময়ের এই ঐতিহ্য বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। আধুনিক যুগে ব্যস্ত সময়ে এসবে সময়ও দিতে চান না অনেকে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের পিঠা–পুলি উৎসবের আয়োজন সত্যিই প্রসংশনীয়।