জাপান সরকার যে বর্জ্য শোধনাগার তার দেশে করার অনুমতি দেয়নি সেই বর্জ্য শোধনাগার বাংলাদেশে তথা সীতাকুণ্ডে কেন? তাও আবার এশিয়ার বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের মতো একটি পর্যটন এলাকায়! যা কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য এস.এম আল মামুন। একই সঙ্গে তিনি সমাধান হিসেবে উপকূলে চর এলাকায় এই বর্জ্য শোধনাগার করার পরামর্শ দেন প্রকল্প কর্মকর্তাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক এলাকায় জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের বর্জ্য ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ ও ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। উল্লেখ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাইকার উদ্যোগে ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি প্রকল্পটিতে পুরোনো জাহাজ ভাঙা এবং কলকারখানার বিপদজ্জনক বর্জ্য শোধন করার জন্য সীতাকুণ্ড পৌরসভার ঘনবসতিপূর্ণ মৌলভীপাড়া এলাকায় স্টোরেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে। এতে এলাকাবাসী প্রকল্পটি লোকালয় থেকে অন্যত্র সরানোর দাবি করেছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ, প্রাণি কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা আরজু, সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোলায়মান, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, ইকোপার্কের পর্যটন রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।