সিরিজ জেতা পিছিয়ে গেল টাইগারদের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

এই ম্যাচটা জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডকেও সিরিজ হারের স্বাদ দেওয়া যেতো। তাই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল টানা তিন ম্যাচে জিতে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করা। কিন্তু সে ম্যাচে উল্টো বড় হারের লজ্জা পেল স্বাগতিকরা। ফলে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে আবারো অপেক্ষায় থাকতে হলো মাহমুদউল্লাহর দলকে। আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও বোলাররা তাদের দায়িত্বটা বেশ ভালভাবেই পালন করেছিল। এই ম্যাচেও আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পরিচয় দিলেন চরম ব্যর্থতার। যার পরিণতি ১২৯ রান তাড়া করতে নেমে ৫২ রানের বড় পরাজয়। মাত্র ৭৬ রানেই গুটিয়ে গেল টাইগাররা। আর এই জয়ের ফলে সিরিজে ব্যবধান কমালো নিউজিল্যান্ড। বলা যায় নিউজিলান্ডের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়ল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডকে বধ করতে গিয়ে নিজেরাই বধ হয়ে গেল।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা দেন মোস্তাফিজ। ১০ বলে ১৫ রান করা অ্যালেনকে ফেরান মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন রবীন্দ্র এবং উইল ইয়ং বেশ ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৬ বলে ৩১ রান যোগ করেন তারা। এজুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে তিন বলের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ২০ বলে ৩ টি চারের সাহায্যে ২০ রান করা ঈয়ংকে ফেরান সাইফউদ্দিন। একই ওভারে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকেও ফেরান এই পেসার। দশম ওভারে মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে বোল্ড হন রাচিন রবীন্দ্র। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২০ রান। পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারায় কিউইরা। এবার শেখ মেহেদি ফেরান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে। ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলেণ নিকোলস এবং ব্লান্ডেল। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে উঠে তারা। ব্লান্ডেল ৩০ বলে ৩০ এবং নিকোলস ২৯ বলে ৩৬ রানে অপরাজিতই থেকে যান। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১২৮ রানে। স্বাগতিকদের পক্ষে সাইফউদ্দিন ২৮ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ, মেহেদী এবং মাহমুদউল্লাহ।
১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি দুই ওপেনার লিটন এবং নাঈম। এ দুজন ১৭ বলেই তুলে ফেলেছিলেন ২৩ রান। কিন্তু ১১ বলে ১৫ রান করে লিটন আউট হওয়ার পরই বিপদ নেমে আসে স্বাগতিক শিবিরে। লিটন মআউট হওয়ার পরের ওভারেই ফিরেন শেখ মেহেদি হাসান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মেহেদী করেন ৪ বলে ১ রান। অভিজ্ঞ সাকিব রানের খাতাও খুলতে পারেনি। ২ বল খেলে ফিরেছেন লং অনে ক্যাচ দিয়ে। এরপর হতাশ করেছেন নাইম শেখও। শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রাখা নাঈম রাচিন রবীন্দ্রর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ১৯ বলে ১৩ রান করে। আগের দুই ম্যাচে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহ পারলেননা বিপদের দিনে হাল ধরতে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা টাইগার অধিনায়ক ফিরেছেন ৩ রান করে। অ্যাজাজ প্যাটেলের ওই ওভারে আফিফ হোসেনও ফিরেন রানের খাতা খোলার আগেই। ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখনই হারের ক্ষণ গণনা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি মুশফিকসহ পরের ব্যাটসম্যানরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে বেশ ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু তিনিও পারলেননা সময়ের দাবি মেটাতে। ফলে ২ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ মাত্র ৭৬ রানে। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ২০ রান করে। বাংলাদেশকে লজ্জা উপহার দেওয়ার পতে বড় ভূমিকা পালন করেন কিউই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। ১৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৫ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কোল ম্যাকেঞ্জি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলিয়াছ ব্রাদার্সের এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধবেঁচে থেকেও মৃত তাঁরা সুস্থ যুবক উন্মাদ