চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গত ২৭ ডিসেম্বর ‘তুলির আঁচড়ে স্বাস্থ্য, ক্যানভাসে বিজয়’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যের কনফারেন্স রুমে একটি পুরস্কার ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবির এবং অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার পারভেজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট, সিভাসুর পরিচালক অধ্যাপকড. মো. আহসানুল হক। গত ৩০ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ওয়ান হেলথ ডে উপলক্ষে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট, সিভাসু “ওয়ান হেলথ বা এক স্বাস্থ্য” বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল–প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম থেকে দশম শ্রেণি। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বিচারক মণ্ডলী প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানসহ মোট পাঁচজনকরে মেধাবী প্রতিযোগী নির্বাচন করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে চিত্রাংকন সামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রতিযোগী ও অভিভাবকদের জন্য নাস্তা, চকলেট ও বিস্কুটসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
অনুরূপ, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট, সিভাসু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যে চিত্রাংকনসহ ছড়া, কবিতা ও ছোট গল্প প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয়, যাতে শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিলো।
অনলাইন প্লাটফর্মে সর্বমোট প্রায় ৫০টি চিত্রাংকন, ছড়া, কবিতা ও ছোট গল্প জমা পড়ে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ–মাধ্যমিক ও উচ্চতর বিষয়ে শিক্ষার উপর ভিত্তি করে অংশগ্রহণকারীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
এই দুটি আয়োজনের বিজয়ীদের সম্মাননা প্রদান ও সনদ বিতরণের লক্ষ্যে ২৭ ডিসেম্বরের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন,“ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে ওয়ান হেলথের ধারণা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছে। এই সৃজনশীলতা ভবিষ্যতে আমাদের স্বাস্থ্য্য ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ এবং বিজয়ীদের জন্য রইল বিশেষ অভিনন্দন। ইনশাআল্লাহ, তোমরা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য গৌরব বয়ে আনবে।” বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, তোমাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ওয়ান হেলথ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আঁকা চিত্রগুলো প্রমাণ করে তোমাদের ভেতরে অসাধারণ সৃষ্টিশীল শক্তি রয়েছে। ভবিষ্যতে এই প্রতিভা দেশ গঠনে কাজে লাগবে–এটাই আমাদের প্রত্যাশা। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের আঁকা ছবি, কবিতা ও ছড়া নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যবহুল ও মনোমুগ্ধকর ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এতে উপস্থিত বিজয়ী, অভিভাবক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি, ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট, সিভাসু এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ওয়ান হেলথ–মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের সমন্বিত স্বাস্থ্য ধারণাকে তোমরা যেভাবে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছ, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তোমাদের এই সৃজনশীলতা আগামী দিনে আরও বড় সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে–এই কামনা করি।” সার্বিকভাবে অনুষ্ঠানটি শিশু–কিশোরদের সৃজনশীলতা বিকাশে ও ওয়ান হেলথ ধারণা ছড়িয়ে দিতে একটি স্মরণীয় ও সফল আয়োজনে পরিণত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












