সিনেটে এবারও রেহাই ট্রাম্পের

অভিশংসন বিচার

| সোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

কংগ্রেস ভবনে কলঙ্কজনক হামলার ঘটনায় অভিশংসিত হলেও সিনেটের বিচারে আবারও রেহাই পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সিনেটের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শনিবার ভোটাভুটিতে ৫৭ জন সিনেটর ট্রাম্প দোষী বলে মত দিলেও বিপক্ষে পড়ে ৪৩ ভোট। অবশ্য দলীয় প্রতিনিধির সংখ্যায় আধাআধি ভারসাম্যে থাকা সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের আনা ওই অভিযোগে এবারও যে ট্রাম্প রেহাই পেয়ে যাবেন, তা আগেই অনুমিত ছিল। খবর বিডিনিউজের।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে নজিরবিহীন সেই হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে তার দল রিপাবলিকান পাটির্র সাতজন সেনেটরকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ডেমেক্র্যাটরা। কিন্তু তাদের অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। সিনেটের অভিশংসন বিচার মূলত একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, ফৌজদারি বিচার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ কোনো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করলে তাকে ওই পদ থেকে অপসারণের জন্য সেনেটে এই বিচারের আয়োজন করা হয়। গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ইতোমধ্যে তার মেয়াদ শেষে বিদায় নিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। সে কারণে সেনেটের ভোটে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও তার অপসারণের কোনো বিষয় এবার ছিল না। তবে ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিলেন, অভিশংসন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের আবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ বন্ধ করার সুযোগ মিলবে। তবে সেই চেষ্টায় তারা সফল হতে পারেননি। সেনেটের বিচারে রেহাই পাওয়া ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও একজন বৈধ প্রার্থী বিবেচিত হবেন, যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেনেটের ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেছেন, তার ‘অভিযাত্রা চলবে’। ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দুই বার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডব্লিউএইচও তদন্ত দলকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়নি’ চীন
পরবর্তী নিবন্ধনিত্যানন্দপুরী মহারাজ