৯ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ১২ তলার ভবন নির্মাণের পাশাপাশি অন্যের জায়গা দখল করার ক্ষেত্রে সিডিএর কর্মকর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে সিডিএ ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর ইনচার্জ ও উপ–পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম সিডিএ ভবনে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করে। নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ৩৫১ নম্বর প্লটে ভবন নির্মাণে সিডিএ থেকে ৯ তলার অনুমোদন নিয়ে ১২ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবন নির্মাণের সময় পাশের প্লটের জমিও দখল করার অভিযোগ করা হয়। পাশের প্লটের মালিক হাফেজ মোহাম্মদ জামাল বিষয়টি নিয়ে সিডিএতে অভিযোগ করলেও কোনো সাড়া পাননি। পরে তিনি দুদকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ কে দায়িত্ব প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে দুদকের একটি টিম সিডিএ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ ইনচার্জ ও উপ–পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত সাংবাদিকদের বলেন, চান্দগাঁও আবাসিকের এক প্লট মালিক দুদকে অভিযোগ করেছেন তার জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবনটি ৯ তলার অনুমোদন নেওয়া হলেও করা হয়েছে ১২ তলা।
তিনি বলেন, সিডিএতে এসে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভবন মালিক ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে ভবন নির্মাণ করছেন। তারপরও আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করবো।
দুদক কর্মকর্তা আরও বলেন, নকশা বর্হিভূত ভবন নির্মাণের বিষয়টি সিডিএর কর্মকর্তা অবগত আছেন। ভবনের অনুমোদন নেওয়া থেকে ভবন নির্মাণ পর্যন্ত অথরাইজ অফিসারের যে তদারকি থাকার কথা সেখানে গাফিলতি ছিল। যার ফলে ৯ তলার ভবন ১২ তলা হয়েছে।
সিডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভবনটির অননুমোদিত অংশ ভেঙ্গে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।