সাবেক দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শিক্ষাবোর্ড সচিবের স্ত্রীর মামলা

পুত্রের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার ভুয়া আবেদন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার ভুয়া আবেদন করা হয়েছে এমন অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীম এবং চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী। গতকাল চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার বাদী নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী ও সাবেক কলেজ শিক্ষিকা বনশ্রী দেবনাথ। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কামরুল হাসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বনশ্রী দেবনাথের মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার আরজিতে বলা হয়, গত বছরের ২৮ নভেম্বর দুই অভিযুক্ত অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে হেনস্তা করার জন্য তার ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেন। অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে নারায়ণ চন্দ্র নাথের পরিবারের ক্ষতির উদ্দেশ্যে কাজটি করা হয়েছে। যা সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আরজিতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক আবদুল আলীম চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। সমসাময়িক সময়ে অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ উক্ত বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। কিন্তু আবদুল আলীমসহ দুই অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। এ জন্য নারায়ণ চন্দ্র নাথকে পদে পদে হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে হেনস্তা করে চলছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলের এইচএসসি পরীক্ষার ১২টি উত্তরপত্রের পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু শিক্ষাবোর্ডের বিধান হচ্ছে শুধু পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক আবেদন করার অধিকার রাখেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ফলাফল পুঃনিরীক্ষার আবেদনকারীকে শনাক্ত ও আইনি প্রতিকার চেয়ে এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডি করেন নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী দেবনাথ। তদন্তে অধ্যাপক আবদুল আলীমের মোবাইল ফোনে উক্ত আবেদনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ফলাফল পুঃনিরীক্ষার আবেদনকারীর মুঠোফোন নম্বর উদ্ঘাটন সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। উক্ত পুলিশ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে করণীয় ঠিক করা হবে
পরবর্তী নিবন্ধসিডিএ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ খতিয়ে দেখতে দুদকের অভিযান