নেদারল্যান্ডস থেকে গেট না আসায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৭টি স্লুইচ গেট কাজে লাগানো যাচ্ছে না। গত জুনে স্লুইচ গেটগুলো পুরোদমে চালু করার কথা থাকলেও তা হয়ে উঠেনি। এগুলো না আসা পর্যন্ত স্লুইচ গেটগুলো চালু করা সম্ভব হবে না। কবে নাগাদ নেদারল্যান্ডস থেকে গেটগুলো দেশে পৌঁছবে তাও অনিশ্চিত। তবে আশা করা হচ্ছে যে, চলতি বছরের মধ্যেই অন্তত ৫টি স্লুইচ গেট চালু করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। অপরদিকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে সিডিএ। সেনাবাহিনীর মেগা প্রকল্পে স্লুইচ গেট রয়েছে ৫টি। অপরদিকে সিডিএ’র প্রকল্পে স্লুইচ গেট রয়েছে ১২টি। প্রতিটি স্লুইচ গেটের আরসিসি কাজ এখানে করা হলেও গেট আনা হচ্ছে নেদারল্যান্ডস থেকে। শুরুতে কাস্ট আয়রন দিয়ে গেটগুলো তৈরির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, কাস্ট আয়রনে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই উন্নতমানের কম্পোজিট আয়রন দিয়ে গেটগুলো তৈরির অর্ডার দেয়া হয়। নেদারল্যান্ডসে গেটগুলো তৈরির কার্যক্রম শুরু হয় গতবছর। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মার্চের মধ্যেই গেটগুলো দেশে পৌঁছার কথা ছিল। জুনে গেটগুলো স্থাপন করার কথা। কিন্তু করোনাকালে নানা প্রতিবন্ধকতায় গেটগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এতে করে নেদারল্যান্ডস থেকে প্রত্যাশিত সময়ে গেটের সরবরাহ পাওয়া যায়নি। এতে চালু হয়নি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্লুইচ গেট।
সূত্র বলেছে, গেটগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী দুয়েক মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নেদারল্যান্ডস গিয়ে গেটগুলো সরেজমিন দেখে আসবেন। গেটগুলো ঠিকঠাক পাওয়া গেলেই শিপমেন্ট দেয়া হবে। ফলে আগামী মাস চারেকের মধ্যে গেটগুলো দেশে পৌঁছার সম্ভাবনা নেই। তবে মেগা প্রকল্পের ৫টি স্লুইচ গেটের কম্পোজিট আয়রনে নির্মিত গেট আগামী সেপ্টেম্বরে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেছেন, মেগা প্রকল্পের স্লুইচগেটের গেটগুলো খুব বেশি বড় নয়। এগুলো স্থাপন করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। শুধুমাত্র মহেশখালের গেটটি ছাড়া অন্যগুলো ছোট।
অপরদিকে সিডিএ’র প্রকল্পে ১২টি স্লুইচ গেট রয়েছে। এগুলোর গেট বিশাল বিশাল। এক একটি গেটে দশ বারোটি ব্যান্ড রয়েছে। এগুলোও নেদারল্যান্ডস থেকে আগামী বছরের মার্চ এপ্রিলের দিকে পাওয়া যেতে পারে।
এ ব্যাপারে গতকাল সিডিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস বলেন- নেদারল্যান্ডসে গেটগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো পরির্দশনে দুইটি টিম যাবে। পরিদর্শনের পরই গেটগুলো দেশে আনা হবে। গেটের চালান দেশে পৌঁছার পর স্থাপন করতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি বলেন,জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৭টি স্লুইচ গেট কার্যকর ভূমিকা রাখবে।