পাঁচ দিনে হাজার মৃত্যু, কোভিডে ঝরে গেল ১৭ হাজার প্রাণ

আরো ২১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজারের বেশি

| বৃহস্পতিবার , ১৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

এক দিনে আরও ২১০ জনের মৃত্যুতে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সতের হাজার পেরিয়ে গেল। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে মোট মৃত্যু পৌঁছেছিল ১৬ হাজারে। সেই তালিকায় আরও এক হাজার নাম যুক্ত হতে সময় লাগল মাত্র পাঁচ দিন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১২ হাজার ৩৮৩ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; তাতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জন। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২১০ জনকে নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু পৌঁছালো ১৭ হাজার ৫২ জনে। খবর বিডিনিউজের।
টানা রেকর্ডের পর মঙ্গলবার দেশে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছু কমে এসেছিল। এক দিনে ১২ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ২০৩ জনের। বুধবার তা আবার কিছুটা বেড়েছে। গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৫ হাজার ৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪০ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪৭০ জন।
আর যে ২১০ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬৯ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ২৪৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ছাড়িয়েছে। আর ৪০ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারীতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬২৭টি ল্যাবে ৪২ হাজার ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৯টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ, আগের দিন যা ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ ছিল। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩১ জন ছিলেন পুরুষ। ৭৯ জন ছিলেন নারী। ১৫৭ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিডিএর ১৭ স্লুইচ গেট চালু করা যাচ্ছে না
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে প্রথমবার দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়াল