গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে দিয়ে সিডিএকে আইনজীবী সমিতির মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন। গতকাল বুধবার আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, সমিতির ৫ টি ভবন নির্মাণে সিডিএ অনুমোদনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্কিট হাউজে সভায় মিলিত হয়ে অংশীজনদের সাথে কথাও বলেছেন এবং কোর্ট বিল্ডিং ও আইনজীবী ভবন পরিদর্শন করেছেন। এরমধ্যে সভার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানতামই না। অথচ আদালত ভবন এলাকার সবচেয়ে বড় অংশীজন আইনজীবী সমিতি। অন্যদিকে আইনজীবী ভবন পরিদর্শনের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন মিথ্যা প্রচারণা অবশ্যই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করছি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন, বার কাউন্সিলের সদস্য মুজিবুল হক ও সমিতির সাবেক সভাপতি রতন কুমার রায়। লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আশেপাশে সমিতির ভবনগুলোসহ জিপিও ভবন, চউক ভবন, চট্টগ্রাম কালেক্টরেট মসজিদ, নিউমার্কেট ভবন রয়েছে। এসব ভবন পাবলিক প্যালেস। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন কেপিআই স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত। যেটি আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ। কেননা, ২০১৩ সালে কেপিআই স্থাপনা সংক্রান্তে প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পাবলিক প্যালেসের আশেপাশে কেপিআই স্থাপনা নির্মাণ না করার বিষয়ে বর্ণিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সমিতির সীমানা দেয়ালে ২০০৪-২০০৫ সালে পাইলিং করে মজবুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়। ফলে সমিতির ভবনসমূহ কোনোভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কথা উল্লেখ করে এএইচএম জিয়াউদ্দিন অভিযোগ করেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি একতরফা প্রতিবেদন নেওয়ার চেষ্টা করছেন জেলা প্রশাসক। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সাথে বিচার বিভাগের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।