শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় অন্যান্য থানার মত করে লোহাগাড়া থানাও পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
থানা পুড়িয়ে দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় যাবতীয় পুলিশি কার্যক্রম। ভয় ও আতংকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। অবশেষে আইজিপির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে একে একে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা।
থানা কম্পাউন্ড পুড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ীভাবে শুরু হয়েছে লোহাগাড়া থানার পুলিশের কার্যক্রম। ইতিমধ্যে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা এসে তাদের অভিযোগ তুলে দিচ্ছেন পুলিশের কাছে। পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম চালাতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, থানা কম্পাউন্ড পুড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী ভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। একে একে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা। যতদিন পর্যন্ত থানা কম্পাউন্ডের সংস্কার সম্পন্ন করা না হয় ততদিন পর্যন্ত সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে সেবা প্রদান করা হবে। লোহাগাড়া উপজেলার সকল মানুষকে পুলিশি সেবা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আশা করি আমরা সম্মিলিত ভাবে লোহাগাড়ার পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারব।