সিজেকেএস এর দুটি পদে উপ-নির্বাচন ।। প্রথম দিনেই মনোনয়ন কিনলেন ১২ জন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের দুটি পদের উপ-নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। এরই মধ্যে প্রথম দিনেই দুটি পদের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন ১২ জন প্রার্থী। দুই দিনব্যাপি মনোনয়ন পত্র বিক্রির আজ শেষ দিন। আজ আর কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। গতকাল মনোনয়ন পত্র বিক্রির প্রথম দিনে সহ সভাপতি পদে চারজন মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। তারা হলেন সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা আলম, কোয়ালিটি স্পোর্টসের প্রতিনিধি ও সানোয়ারা গ্রুপ অব কোম্পানীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান এবং নবীন মেলার প্রতিনিধি রাশেদুল আলম। এদের মধ্যে গত নির্বাচনে আ.জ.ম. নাছির উদ্দিনের প্যানেলে থাকলেও নির্বাচন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন সে নির্বাচনে সহ সভাপতি পদপ্রার্থী হাফিজুর রহমান। অপরদিকে সাবেক যুগ্ম সস্পাদক শাহজাদা আলম গত নির্বাচনে অংশ নেননি।
আর রাশেদুল আলম অংশ নিয়েছিলেন কোষাধ্যক্ষ পদে। মূলত তার এবং নির্বাহী সদস্য প্রার্থী প্রবীন কুমার ঘোষের কারণে সেবার নির্বাচন হয়েছিল। এবারের উপ নির্বাচনে রাশেদুল আলম সহ সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাহী সদস্য পদেও মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন। আর মুজিবুর রহমান প্রথমবারের চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।
এদিকে গত নির্বাচনে জয়ী নির্বাহী সদস্য আবদুল বাসেত মারা যাওয়ায় খালি হয় একটি পদ। আর সে পদের জন্য গতকাল ৮ জন মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন। তারা হলেন বর্তমান ব্যাডমিন্টন সম্পাদক দিদারুল আলম, ক্যারম সম্পাদক মে.: এনামুল হক, বডি বিল্ডিং সম্পাদক এ.এস.এম সাইফুদ্দীন চৌধুরী, প্রবীন কুমার ঘোষ, রাশেদুল আলম, মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘের প্রতিনিধি মশিউল আলম স্বপন, সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোছাইন এবং কোয়ালিটি স্পোর্টসের প্রতিনিধি সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ। আজ দ্বিতীয় দিনের মত মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা হবে। আগামীকাল এবং আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিল করা যাবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল যারা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন তারা জানান একটি সুন্দর এবং গনতান্ত্রিক পরিবেশে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অনেকদিন সারা দেশের মত চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনেও নির্বাচন হয় না। তাই এই উপ নির্বাচনে যেন কাউন্সিলরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে প্রত্যাশা করছেন নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ক্রীড়া সংগঠকরা। এই উপ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মৎ সুমনী আক্তার।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন বোঝা যাবে সত্যিকার অর্থে এই দুটি পদের জন্য কয়জন লড়াই করবেন। তবে মাত্র দুটি পদে হলেও এই নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাকিবকে নিয়ে শংকা রয়েই গেছে
পরবর্তী নিবন্ধহোয়াটসঅ্যাপের স্টোরি পোস্ট