চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি, এডিসি ও এসি পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে একই দপ্তরের অধীনে বিভিন্ন জোনে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের এক আদেশে এসব কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মির্জা সায়েম মাহমুদ। জানা গেছে, একই আদেশে কয়েকজন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বদলি হওয়াদের মধ্যে একজন উপ-কমিশনার, আটজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার রয়েছেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেনকে এস্টেট শাখায় বদলি করা হয়েছে। ওই জায়গায়(বন্দর-ডিবি) নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মনজুর মোরশেদকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিএমপি উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) এনএম নাসিরুদ্দিনকে ডিসি(অপরাধ) শাখায় বদলি করা হয়েছে। একই সাথে তাকে ডিসি প্রসিকিউশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত উপ-কমিশনারদের মধ্যে দক্ষিণ বিভাগের দায়িত্বে থাকা শাহ মো. আব্দুর রউফকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি পলাশ কান্তি নাথ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের এডিসি আসিফ মহিউদ্দীনকে কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের এডিসি মির্জা সায়েম মাহমুদকে ডিবি উত্তর জোনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ট্রাফিক বন্দর বিভাগের এডিসি অলক বিশ্বাসকে এডিসি বন্দর জোনে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে এডিসি (উত্তর) আশিকুর রহমানকে। এছাড়া এস্টেট শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাদিরা নূরকে উত্তর জোনে এবং পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট শাখার দায়িত্বে থাকা নুতান চাকমাকে পরিবহন শাখায় বদলি করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনারের মধ্যে এস্টেট শাখার মমতাজ উদ্দিনকে ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা কীর্তিমান চাকমাকে বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার এবং বন্দর জোনের কামরুল হাসানকে এস্টেট শাখায় বদলি করা হয়েছে। সিএমপির নতুন কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মাথায় এ রদবদলের হল।