চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল ট্যাংক উপচে গড়িয়ে পড়েছে কর্ণফুলী নদীতে। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, কোম্পানির জ্বালানি ট্যাংক থেকে জেনারেটর ট্যাংকে ডিজেল সরবরাহের জন্য পাম্প চালু করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেটি বন্ধ না করায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লোকসানের পাশাপাশি নদীতে তেল পড়ায় পরিবেশেরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কার গাফিলতিতে এ ঘটনা ঘটেছে কিংবা এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা উদঘাটন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি অটো সুইচিং ব্যবস্থার কারণে কিছু তেল পড়ার বিষয়ে জেনেছি। কী পরিমাণ তেল পড়েছে, এর পেছনে কারো গাফিলতি আছে কিনা তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি সকালে শ্রমিক-কর্মচারীরা ঘটনাটি জানতে পারে। এরপরই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পরদিন নালায় প্রচুর ডিজেল জমে ছিল। কিন্তু এসব ডিজেল উত্তোলন করা হয়নি। বরং হোসপাইপের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমে থাকা ডিজেল নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নদী বা সাগরে তেল নিঃসরণ হলে মাছের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। এছাড়া প্রভাব পড়ে পরিবেশের ওপর। সেক্ষেত্রে নিঃসরিত তেল সুকৌশলে অপসারণ করতে হয়। সিইউএফএলের অবস্থান কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিঃসরিত তেল নদী হয়ে সাগরে ছড়িয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কর্তৃপক্ষ তেল অপসারণ না করে উল্টো হোসপাইপ লাগিয়ে নদীর দিকে ঠেলে দিয়েছে। মূলত তেল নষ্টের আলামত গোপন করতে এই কাজ করা হয়েছে।