সাড়ে ৭ মাসে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত

দেশে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা

| রবিবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা পরীক্ষায় ৮৩৪ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সংখ্যাটি গত সাড়ে ৭ মাসে সবচেয়ে কম। গতকাল শনিবার বিকালে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার দ্বিগুণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা দেড় গুণ বেড়েছে। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েছে ৭ হাজার ৪২৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন শনাক্ত ৮৩৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ মে। সেদিন ৬৩৬ রোগী কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
কোরবানির ঈদের পর দিনে শনাক্ত রোগী গতকালই প্রথম হাজারের নিচে নামল। কোরবানির ঈদের পর দিন ২ আগস্ট ৮৮৬ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন মাত্র ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে সাড়ে ৩ হাজার কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে, তার সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুর হার ও সুস্থতার হারও কমেছে।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২০টি জিন-এঙপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৩টি ল্যাবে ৯ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৩ জন খুলনা, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনার ৫টি নতুন মিউটেশন শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধআর দেখা হল না সন্তানের মুখ