সাড়ে ৫ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা

আপেল ঘোষণায় বিদেশি সিগারেট

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে আপেল ঘোষণার আড়ালে আমদানিকৃত বিদেশি সিগারেটে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মারহাবা ফ্রেস ফ্রুটস। গতকাল বৃহস্পতিবার চালানটি নিরিক্ষা শেষে দৈনিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) সালাউদ্দিন রিজভী। এর আগে গত বুধবার রাত ৮টায় আপেল আমদানির আড়ালে দুটি কাভার্ডভ্যানে খালাসে বিদেশি সিগারেট আটক করে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। কাভার্ডভ্যান দুটির নম্বর যথাক্রমে নারায়ণগঞ্জ-ট-১১-০১২০ এবং নারায়ণগঞ্জ-ট-১১-০৪৭৮।
এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর স্টেশন রোডের ফলমণ্ডী এলাকার মারহাবা ফ্রেস ফ্রুটস আরব আমিরাত থেকে আপেল ঘোষণায় আমদানিকৃত এক হাজার ১২০টি কার্টনের ৩৬৬ কার্টনে ফ্রেশ আপেল এবং বাকি ৭৫৪টি কার্টনে আপেলের নিচে লুকায়িত অবস্থায় বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। মোট ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেটের মধ্যে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ শলাকা মন্ড ব্রান্ডের, ১৪ লাখ ৮ হাজার ৭২০ শলাকা ইজি ব্রান্ডের এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ শলাকা অরিস ব্রান্ডের সিগারেট দেখতে পায় এআইআর টিম। এসব সিগারেটের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। যার মাধ্যমে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর ৪০ ফুট রেফার কন্টেনারে আসা চালানটিতে খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ীর জিমি এন্টারপ্রাইজ বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। যার নম্বর-২০৫৮৯৩২। চালানটি আমদানির জন্য আমদানিকারক গত ৬ ডিসেম্বর ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে একটি ঋণপত্র খোলে।
কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, পণ্য তৈরির দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বিবরণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে পণ্য চালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কাস্টমসের এআইআর শাখা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ড থেকে চালান আটক করে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী জানান, এ চালানে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য ও উচ্চ শুল্কের পণ্য সিগারেট আমদানি করে আনুমানিক ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। কাস্টমসের নজরদারি ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় এ অপচেষ্টা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনার মহোদয়। কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
পরবর্তী নিবন্ধমুরাদের নামে মামলার আবেদন মামুনুলের আইনজীবীর