ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডির বেতনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বেতনও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর বর্তমান বেতন এক লাখ ৮০ হাজার; যা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা দেড়শ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন তিনি। তবে সভায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বেতন বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বোর্ড সভায়। গতকাল সোমবার ওয়াসার ৬৫তম বোর্ড সভায় এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
ওয়াসা সূত্র জানায়, গত বছরের মে মাসে ওয়াসার ৬১তম বোর্ড সভায় বেতন–ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। ওই সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বেতন পৌনে দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তখনও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যে কমিটি ‘কোভিডের কারণে’ প্রতিবেদন দিতে পারেনি। কিন্তু দীর্ঘদিন সেটি উত্থাপিত হয়নি। প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর মূল বেতন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তিনি চান সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তাঁর আবেদন মতে, ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডিদের মূল বেতন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির দ্বিগুণ বা তার বেশি। তাই নিজের বেতন–ভাতা বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি। গতকালের ৬৫তম বোর্ড সভার এটি এজেন্ডা ছিল। এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনায় উঠলে বোর্ডের সদস্যরা বিষয়টি অধিকতর পর্যালোচনার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বেতন বাড়ানোর বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ওয়াসা বোর্ডের সদস্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে। বাকি তিনজন হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, চাটার্ড অ্যাকাউট্যান্ট সমিতির সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন ও চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) শামসুল আলম। সভায় সভাপতিত্বে করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই ব্যাপারে ওয়াসার বোর্ড সদস্য সাংবাদিক মহসিন কাজী জানান, এমডির বেতন–ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডির বেতনের সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য এই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সভায় বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী বোর্ড সভায় তাদের পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করবেন। এরপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।