আগের দিন শুক্রবার ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; যা গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত সাড়ে আট মাসে সবচেয়ে কম। গত বছরের ২ মে ৫৫২ জন রোগী শনাক্তের খবর দেওয়া হয়েছিল। এরপর গতকাল শনিবারই সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হলো। খবর বিডিনিউজের।
নতুন করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে বাড়লেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচশর ঘরে নেমেছে। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এই সময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৭৮। গত একদিনে মারা যাওয়া ২১ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট ৭ হাজার ৮৮৩ জনের মৃত্যু হলো। আরও ৫৭৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৩৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৬ জন হয়েছে। দেশে করোনারর প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ। ২৪ ঘণ্টায় মোট ১২ হাজার ২১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪.৭৩ শতাংশ। এ নাগাদ শনাক্তের হার ১৫. ৩০ শতাংশ।
গত এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। সেই সঙ্গে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে সুস্থতার হারও। সার্বিকভাবে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.৫১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, নারী ৮ জন। এই ২১ জনের মধ্যে ২১ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন। নতুন করোনাভাইরাসে পুরুষের সংক্রমণ হার বেশি। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজার ৯৭৬ জন পুরুষ। নারী মারা গেছে ১ হাজার ৯০৭ জন।
গত একদিনে মৃত ২১ জনের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। ৩ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আর ১ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ১৩ জন। বাকিদের মধ্যে ৬ জন চট্টগ্রাম ও ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা। মৃতের হার ঢাকা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।