সালিশে চাচার হামলায় ভাতিজা নিহত

পুকুরের মাটি কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৯ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর কাথারিয়ায় পুকুর থেকে মাটি কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সালিশে চাচার হামলায় ভাতিজা নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সংঘটিত এ ঘটনায় নিহত ভাতিজা শাহাব উদ্দিনের (৩৩) পিতা মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেন (৬২), অপর ভাই শাহ আলম (৩৪) আহত হন। চাচা নুর হোসেনও (৪৫) আহত হন। ঘটনাটি উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইদায়রী পাড়ায় ঘটেছে। আহতদের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও শাহাব উদ্দিনের মৃত্যুর পর চাচা নুর হোসেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমিত দাশ বলেন, কাথরিয়ার ঘটনায় হাসপাতালে আনার পর শাহাব উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় তার বাবা ও ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে শাহাব উদ্দিন মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান চাচা নুর হোসেন। বুধবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত নুর হোসেন (৫০), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪০), দুই ছেলে মো. হাসান (২৭) ও মো. নয়নকে (২০) পালানোর সময় কক্সবাজার এলাকা থেকে আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি টিম।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাথারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মানিক পাঠান মৃত মোহাম্মদ আলমগীরের পুত্র এয়াকুব হোসেন ও নুর হোসেনের মধ্যে বসতভিটার জায়গা ও পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য মো. নোমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশী বৈঠক বসে দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে নুর হোসেন সহ তার ছেলেরা এয়াকুব হোসেন ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (৩৩), তার পিতা মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেন (৬২),অপর ভাই শাহ আলম (৩৪) আহত হন। তাদের দ্রুত বাঁশখালী হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার শাহাব উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন ও সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রথমে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়জন আহত হয় এবং শাহাব উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। ওসি বলেন,

ঘটনার ব্যাপারে কোনও মামলা দায়ের করা না হলেও বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল মোবাইল ট্রেকিং ও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনায় জড়িত নুর হোসেন (৫০), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪০), দুই ছেলে মো. হাসান (২৭) ও মো. নয়নকে (২০) পালানোর সময় কঙবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত
পরবর্তী নিবন্ধসিদ্দিক বাজারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০