সার্ভার জটিলতা, ১৫ ঘণ্টা পর শুরু হল একাদশে ভর্তির আবেদন

চট্টগ্রামে বেড়েছে আসন সংখ্যা

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

পূর্বঘোষিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকে ২০২৪২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু হওয়া কথা ছিল। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় সেই আবেদন শুরু হয়নি। ফলে সারা দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগ শুরু করেন। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, সার্ভার জটিলতার কারণে সকালে আবেদন শুরু হয়নি।

বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে সার্ভার স্বাভাবিক হয়। এরপর অনলাইনে ঢুকে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারছেন। রাত ১১টার দিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সার্ভার জটিলতায় আমরা নির্ধারিত সময়ে আবেদন শুরু করতে পারিনি। রাত ৮টার দিকে জটিলতা কাটিয়ে আমরা শুরু করতে চেয়েছিলাম। সেটাও যথাসময়ে সম্ভব হয়নি। তবে এখন সার্ভার স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে এখন আবেদন করতে পারবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা থেকে একাদশে ভর্তির আবেদন শুরুর কথা ছিল। সকালে প্রথম দিকে সার্ভারে প্রবেশ করা গেলেও শিক্ষার্থীরা লগ ইন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারছিলেন না। এরপর তা নিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি টিম। তবে সকাল ৯টা থেকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দেয়। কোনোভাবেই সার্ভারে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারছিলেন না শিক্ষার্থীরা। অবশেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে সার্ভার স্বাভাবিক হয়।

এদিকে বাংলানিউজ জানায়, এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। গতবারের চেয়ে চট্টগ্রাম নগরের ৮টি সরকারি কলেজের আসন সংখ্যা বেড়েছে ১৯০টি। মোট আসন সংখ্যা ১০ হাজার ১০০টি। গতবার ছিল ৯ হাজার ৯১০টি।

যেসব কলেজে বেড়েছে আসন : নগরের সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগে আসন বেড়েছে ১০টি, মানবিক বিভাগে ৭০টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বেড়েছে ১১০টি আসন। সরকারি কমার্স কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বেড়েছে ৭০টি। বাকলিয়া সরকারি কলেজ এবং কলেজিয়েট স্কুলে বেড়েছে ১০টি করে ২০টি আসন। সবচেয়ে বেশি আসন বেড়েছে চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এ প্রতিষ্ঠানে গতবারের চেয়ে আসন বেড়েছে ১১০টি। তবে গতবারের চেয়ে ১০টি আসন কমেছে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে। সরকারি ৮ কলেজের মোট আসনের মধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে ২ হাজার ৭৪০টি, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৭৭০টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৯০টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কলেজে মোট আসন আছে ১ হাজার ৪০টি, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে মোট আসন আছে ১ হাজার ৭২৫টি। সরকারি সিটি কলেজে মোট আসন আছে ২ হাজার ১৮০টি। সরকারি কমার্স কলেজে আসন আছে ৯৭০টি। এছাড়াও চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৪০০টি, বাকলিয়া সরকারি কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৪৩৫টি, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসন আছে ১ হাজার ৫০টি, কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে মোট আসন আছে ৩০০টি।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক বলেন, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু জিপিএ৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫৬টির বেশি কলেজ দেয় না। তাদের ধারণা, ৬টি কলেজে আবেদন করলে নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি থাকে। সে কারণে যারা ৫৬টি কলেজের বেশি পছন্দ দেয় না, তাদের একটিতেও সুযোগ হয় না। কিন্তু দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয় না।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন যাচাই বাছাই ও নিষ্পত্তি হবে ১২ জুন থেকে ১৩ জুন। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ ১২ ও ১৩ জুন। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ১২১৩ জুন। ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে। ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই এবং শেষ হবে ২৫ জুলাই। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় একাধিক মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা করায় জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধগৃহহীন মানুষের গৃহনির্মাণে নিষ্ঠার নির্মাণ সামগ্রী হস্তান্তর