সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি

| শুক্রবার , ২২ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

দুর্গাপূজার মধ্যে মন্দির ও হিন্দু সমপ্রদায়ের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ধর্মীয় উসকানি ও বিদ্বেষমূলক লেখালেখির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান এসেছে চট্টগ্রামে অধ্যাপক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের এক বিবৃতিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪ নাগরিকের পক্ষে কবি কামরুল হাসান বাদল এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠান। বিবৃতিদাতারা হলেন- অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফি, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, মু. সিকান্দার খান, এম এ মালেক, অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, শিল্পী আবুল মনসুর, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, ড. আনোয়ারা আলম, ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, শিল্পী অলোক রায়, অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম। খবর বিডিনিউজের।
দুর্গোৎসবের মধ্যে হিন্দু সমপ্রদায়ের উপর হামলায় উদ্বেগ জানিয়ে তারা বলেন, হামলা, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা দেখে নাগরিক সমাজের অংশ হিসেবে তারা লজ্জিত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সব ধর্মের মানুষের অবদানে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, যে দেশ বঙ্গবন্ধুর মতো একজন উদার মানবতাবাদীর নেতৃত্ব লাভ করেছে, সে দেশে এমন অমানবিক হিংসাত্মক ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্ত করেছে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানোর পাশাপাশি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেই সাথে সামপ্রদায়িক রাজনীতি, উস্কানিমূলক বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ ও লেখালেখির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন জানাই। আমরা আশা করি, সরকার আর সময়ক্ষেপণ না করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে এই অপশক্তিকে অতিসত্ত্বর প্রতিহত করবে।’
সেই সাথে বিবৃতিতে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের কাছে এই দুঃসময়ে প্রতিবেশীর পাশে এসে দাঁড়ানোর আবেদনও জানান এই নাগরিকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছেলে হত্যার বিচার চাওয়ায় পিতাকে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধবিচলিত হওয়ার কিছু নেই, এ দেশ সবার