এক একটি প্রাণ ঝরছে, মিডিয়ায় খবরের শিরোনাম হচ্ছে ঝরে পড়া প্রাণ। স্বজনরা জানতে চান, এর দায় কে নেবে? রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি চলে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছে না এমন করুণ পরিণতি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়ার মৃত্যুতে গত দু’দিন ধরে সাধারণ মানুষ অনলাইনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
এম এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, আর কত মায়ের আর্তনাদ এভাবে শুনতে হবে?
সাহেলা আবেদীনের কাছে মনে হচ্ছে, কারও যেন কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যে মরছে মরুক, আমাদের কী? হতে পারতো সে আমার-আপনার পরিবারের কেউ। কবে হবে চট্টগ্রামের উন্নয়ন, যেখানে প্রতিটি কাজের সমন্বয় থাকবে, এক সংস্থা আরেক সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। জনগণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত কার্য সম্পাদন করবে।
সিলভি চৌধুরী লিখেছেন, রাস্তাঘাট এত বাজে যে, জলজ্যান্ত মেয়ে পর্যন্ত নালায় পড়ে মারা যায়। আগ্রাবাদের মতো জায়গায় নালাগুলো উন্মুক্ত। রাস্তার কথাতো বাদই দিলাম। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে তিন চার ঘন্টা লেগে যায়। জানা-অজানা কত মায়ের বুক খালি হয়েছে কে তার খবর রাখে। সাদিয়ার মায়ের কান্না দেখে মনে হয়, আমার সন্তানও তো থাকতে পারতো ওই জায়গায়। ঘরের জানালা খুলে যখন দেখি সাদিয়ার কবরটা, মনটা কেঁদে ওঠে ওই মায়ের জন্য।
মোহাম্মদ ফাহিম লিখেছেন, আসলে যার যায় সে বুঝে, সন্তান হারানোর কষ্ট কী। ঐ সন্তানের পিতা-মাতা বুঝছে, বাঙালি দু’দিন পর ভুলে যাবে, তারা পারবে না ভুলতে।
সায়েমা জান্নাত সায়মুন লিখেন, এখন প্রতিনিয়ত ভয় নিয়ে চলতে হয় আমাদের, কারণ আমরা মধ্যবিত্ত, হেঁটে, রিকশা চড়ে চলা মানুষ।
মহসিন কাজী লিখেছেন, মুরাদপুরে গত মাসে সালেহ আহমদ তলিয়ে যাওয়ার পর চসিক মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন অতি শীঘ্রই খোলা নালা আর খালগুলোতে সিকিউরিটি ওয়াল দেয়া হবে। একমাসের চেয়েও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওয়াল এখন কোথায়?
নালায় তলিয়ে যাওয়া সালেহ আহমদ হারিয়ে গেলেন, তার লাশটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম শহরে হাঁটতে দেখে নিতে হবে সামনে কোন মৃত্যুকূপ আছে কীনা।
বিধা দাশগুপ্ত লিখেন, বলার কোনো ভাষা নেই! আমাদের ক্ষমা করো বোন।
মহিউদ্দিন মজুমদার মনে করেন, নালা নর্দমা থেকে জনগণের সেফটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তা ব্যক্তিরা। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক।












