সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতাই নারীর উপর শারীরিক মানসিক লাঞ্ছনা রোধ করতে পারবে

প্রতিমা দাশ | রবিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

ধর্ষকের ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড হলেই কি বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ একেবারেই কমে যাবে! বিশিষ্ট জনেরা কিন্তু সেটা বলছে না, আইনের প্রয়োগ যেমন কঠোর হওয়া প্রয়োজন, তেমনি পারিবারিক মূল্যবোধের মাধ্যমে নারীদের সম্মান করা আরও বেশী জরুরি। এই সমাজে আমরা বারবার কন্যাসন্তানের নিরাপত্তার কথা ভাবি এবং কন্যা সন্তানদের কে কিভাবে ংবষভ-ফবভবহংব শেখাবো সে চিন্তা করি কিন্তু একটিবারও কি ছেলেসন্তানদের নারীদের প্রতি সম্মান দেয়ার কথা বলি! ঘরে যখন একজন পিতা সকলের সামনে তার স্ত্রীকে অসম্মান করেন, নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেন, কথায় কথায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন তখন কিন্তু সে ঘরের ছেলে সন্তান বড় হয়ে নারীদের সম্মান করা মাথায় রাখবে না। নারী মানেই তার কাছে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ব্যাপার। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে মহামারীর মতো জেগে উঠা চারপাশে লোলুপ দৃষ্টিতে ধর্ষিতার আর্তনাদ। এই আর্তনাদ রোধ করতে হলে রাষ্ট্র, সমাজ মিডিয়া রেডিও-টেলিভিশনে নারীদের সম্মান রক্ষা করার জন্য প্রতিটি ঘরে বাবা মায়ের আচরণ কেমন হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা জরুরি হয়ে পড়েছে। একসময় বাংলাদেশে এসিড-সন্ত্রাস মহামারীর মত রূপ ধারণ করেছিল কিন্তু আজ তেমন এসিড সন্ত্রাস নেই বললেই চলে তার কারণ প্রশাসনিকভাবে তৎপরতা, খবরের কাগজ রেডিও-টেলিভিশনে এসিডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আলোচনা, ছোট ছোট ডেইলি বিজ্ঞাপন, নাটক সিনেমা সবকিছু মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তার স্বরূপ একইভাবে যদি ধর্ষণের বিরুদ্ধে ও সচেতন করা যায় তাহলে এসিড সন্ত্রাসের মতো ধর্ষণও রোধ হবে। প্রতিটি বাবা মায়ের কর্তব্য, তাদের ছেলেসন্তানকে ছোট বেলা থেকেই চারিত্রিক গঠনের দিকে দৃষ্টি রাখা। সমাজের যেকোনো বয়সী নারীর প্রতি সম্মান শেখানো উচিত। শুধুমাত্র আইন করে ধর্ষণ নির্মূল করা সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতাই নারীর উপর শারীরিক মানসিক লাঞ্ছনা রোধ করতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনামাজের সময় সাউন্ড সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখুন
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ কখন উন্নত দেশ হবে?