সাভার থেকে চট্টগ্রামে পালিয়ে এসেও শেষ রক্ষা হয়নি ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা ওরফে ড্যান্সার রানার। ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে ড্যান্সার রানাকে চট্টগ্রাম থেকে ধরে নিয়ে গেছেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা। র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় র্যাব-৪ এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার সোহেল সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাসহ সাভারের রাজাবাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার রাজনৈতিক কার্যালয় ওই কিশোরীর বাসার কাছাকাছি হওয়ায় কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। রাস্তায় যাতায়াতের বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে তা প্রত্যাখ্যান করলে গত বছরের অক্টোবরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এ সময় গোপনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। সেই ছবি ও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন অভিযুক্ত সোহেল রানা।
এ ঘটনায় গত বুধবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্ত সোহেল। মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সোহেল ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।