সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভ, অতিথিরা অবরুদ্ধ

চান্দগাঁও ‘ক’ ইউনিট সম্মেলন ।। পরে পুলিশ এসে বের করে নিয়ে যান

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

মহানগরীর ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ‘ক’ ইউনিট আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রতিপক্ষ গ্রুপের বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। দ্বিতীয় অধিবেশনে আজম খান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সভার অধিকাংশ নেতাকর্মী সাধারণ সম্পাদক পদে এস এম মাসুদ হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন। এসময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ সভায় অতিথিতের অনেকেই এই প্রস্তাব গ্রহণ না করে খোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করতে চাইলে বাক-বিতণ্ডা-হৈচৈ শুরু হয়। এসময় এস এম মাসুদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা হলের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভের মুখে সভায় উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদসহ ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে পারেননি। এক পর্যায়ে বিক্ষোভের মুখে সভা পণ্ড হয়ে যায়। অতিথিরা হলের ভিতর বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদেরকে হলের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে যান। গতকাল রাত ৮টায় এই ঘটনা ঘটে। চান্দগাঁও সিএন্ডবি এলাকায় হাজী কালা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৩টায়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ নুরু, বিশেষ অতিথি ছিলেন- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, যুগ্ম আহবায়ক নিজাম উদ্দিন নিজু, প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম মাসুদ হোসেন আজাদীকে জানান, সভাপতি পদে আজম খান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর উপস্থিত কাউন্সিলরদের অধিকাংশই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করলে অতিথিরা আমাকে মানতে চাননা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিসহ ৪জন প্রার্থী ছিলাম। অপর তিনজন হলেন ফজলুল হক মনি, নেয়াজ উল্লাহ খান এবং খোরশেদ আলম। এই তিনজনের মধ্যে আরো দুইজন আমাকে সমর্থন করে। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগের নেতারা) গঠনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বলেন-‘আমি নতুন সদস্য হয়েছি। নতুন সদস্য হিসেবে আমি সাধারণ সম্পাদক হতে পারবোনা।’ অথচ আমি আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েছি ২০১৩ সালে। এসময় অতিথিরা আমাকে ১৩ সালের সদস্য ফরম পূরণের রশিদ আনতে বলেন। ২০১৩ সালের সদস্য ফরম পূরণের রশিদ আমি উপস্থিত ক্ষেত্রে কোত্থেকে আনবো?
এই নিয়ে এলাকায় ছোট ভাইয়েরা বিক্ষোভ শুরু করে। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে পারেননি। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে অতিথিদের হলের ভেতর থেকে নিয়ে যান। বিষয়টা আমিসহ অন্যরা মহানগর আওয়ামী লীগকে জানিয়েছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির ভাই (আ জ ম নাছির উদ্দীন) আমাদেরকে পার্টি অফিসে যেতে বলেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ভূমি অধিগ্রহণে অর্থ পেতে সময় লাগবে চার মাস
পরবর্তী নিবন্ধ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাচ্ছে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র