কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন (২৬) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দীর্ঘ চার বছর পর ঘোষিত এ রায়ে চার্জশিটভুক্ত সাতজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. আজম, মো. ফারুক, আলী আজগর, ওমর উদ্দিন, শওকত হোসেন, এস এম আশরাফুল আলম ও মো. পারভেজ।
তাদের মধ্যে পারভেজ ও আশরাফুল পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আয়ুব খান আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চার্জশিটভুক্ত প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনায় মামুনের সহযোগী আবদুল আজিজকে কুপিয়ে আহত করায় ওমর উদ্দিনকে দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার দুটি সাজা-ই একসঙ্গে চলবে বলে আদেশ হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী উপজেলার শাহ মীরপুর এলাকায় মামুনুর রশিদ মামুন ও তার সহযোগী আজিজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। মামুনের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে দুজনকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। মামুন কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় মামুনের ভাই মো. ইয়াছিন কর্ণফুলী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, এ মামলায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। সেটি আমলে নিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সাতজনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করা হয়। এদিকে রায়ের পর মামুনের ভাই মো. ইয়াছিন বলেন, ১৬৪ ধারায় যে তিনজন জবানবন্দি দিয়েছেন, অন্তত তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে এমনটাই আমাদের আশা ছিল। এরপরও আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এখন আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে।