চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতা, নাশকতা ও হত্যার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন নাসির উদ্দিন (৩১), মো. মোরশেদ (২৬), কোরবান আলী (৩৭), মো. ইসমাঈল (৫৫), মো. জসিম (২৪), মো. মিন্টু (২৬), মো. কায়েস (২২) এবং মো. নুরুল আবছার (৩৩)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি জানান, ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে কতিপয় অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। এসব ঘটনায় অস্ত্র হাতে ছবি প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনা হয়। ‘এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একাধিক মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পাশাপাশি র্যাব-২, র্যাব-৭ ও র্যাব-১৫ সমন্বয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।’
সোমবার র্যাব-১৫ বান্দরবান থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে মোরশেদ, কোরবান আলী এবং ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে সাতকানিয়ার খাগরিয়া থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, একটি দোনালা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, ৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবহার করা হয়েছিল, বলেন কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে র্যাব জানতে পারে সহিংসতায় জড়িত জসিম নামে একজন চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবস্থান করছেন। পরে ওই রাতেই র্যাব-৭ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর জসিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের চান্দনাইশ থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার মইন জানান, সহিংসতার ঘটনায় জড়িত দুইজন ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ তেজকুনিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কায়েস এবং তার সহযোগী নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আটজনই আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের কেউ গাড়িচালক কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হলেও নানা অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে।