সাতকানিয়ায় বালি উত্তোলনের ঘটনায় রুহুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য

| শনিবার , ২ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

সাঙ্গু নদী হতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং প্রকল্প কর্তৃক বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের কেশুয়া গ্রামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় ১ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রদান করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি, উপজেলা তাঁতীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাঙ্গু নদীর সাতকানিয়া অংশে ভাঙন প্রতিরোধসহ নদী শাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় পাঁচশত কোটি টাকার যে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে তারই অংশ হিসেবে চরতী ইউনিয়নের কেশুয়ায় সাঙ্গু নদী হতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালি উত্তোলনের কাজ শুরুর উদ্যোগ নিলে স্থানীয় একদল চাঁদাবাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার থেকে দশ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় কাজ শুরু করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এই হুমকির পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস.এস ড্রেজার্স এন্ড ইঞ্জিঃ কোং লিঃ এর প্রজেক্ট ইনচার্জ মো. ইমরান হোসেন গত ৯ সেপ্টেম্বর সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালি উত্তোলনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ চালানোর সময় প্রায় দুই মাইল দূরের তুলাতলী গ্রাম থেকে স্থানীয় জামাত ক্যাডার রুকুনুদ্দিন, রাকিব চৌধুরী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সাথে যোগসাজশে গিয়াস উদ্দীন খান মিন্টু, মহিউদ্দিন, সাইফুল, সোহেল, ফয়েজ আহমদ, কায়সার গং দুই শতাধিক জামাত- শিবিরের লোক সংগঠিত করে দা, কিরিচ লাঠি নিয়ে ড্রেজিং কাজে কর্মরত লোকজনের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার মেশিন, ড্রেজার বহনকারী গাড়ি এবং পাইপসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে তারা একত্রিত হয়ে কর্মরত শ্রমিকদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। এই সময় হামলায় নেতৃত্বদানকারী সন্ত্রাসীরা প্রতিরোধকারী জনগণের উপর গুলি করে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।’
চাঁদাবাজরা কৃষিজমি নষ্টের ধোঁয়া তুলে সাধারণ মানুষকে উস্কে দিচ্ছে এবং উত্তোলন করা বালি রাখার জায়গা নিজের মৌরশি সম্পত্তি উল্লেখ করে রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মূলত ড্রেজিং প্রকল্পে সহযোগিতা করার ফলে আমার বিরুদ্ধে মিন্টু, কায়সার, ফয়েজরা উঠে পড়ে লেগেছে। তারা এলাকায় রটিয়েছে, কৃষকের ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে বালি উত্তোলনের পাইপ নেওয়া হবে। অথচ পাইপ ফসলি জমির ওপর দিয়ে যাবে না।
রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সহযোগিতায় আমি দীর্ঘদিন চরতী ইউনিয়নের উন্নয়নে এবং জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। আগামী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি বিশেষ মহল। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচনের পাঁচ বছর পর বিজয়ী ঘোষণা অতঃপর শপথ
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরে বিদেশি জাহাজের দুই নাবিকের মৃত্যু