প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং তার ছোট ভাই চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট ও অশালীন মন্তব্য করায় দুইজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় এ মামলাটি
দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর কাঞ্চনার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন (৪৫) ও পটিয়ার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পেরোলার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছ চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনকে(৩৮)।
মামলার এজাহার মতে, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং তার ছোট ভাই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য পোস্ট করে।
পরে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের পোস্টে অশালীন মন্তব্য করেন।
মন্তব্যে ফখরুদ্দিন উল্লেখ করেন, “বিপ্লব বড়ুয়া সে আর তার ভাই গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আর তারেক জিয়ার কার্বন কপি।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং তার ছোট ভাই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে পোস্ট এবং তাতে অশালীন মন্তব্য করায় দুইজনকে আসামী করে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এদিকে, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ফেসবুকে পোস্ট এবং মন্তব্যকারী দুইজনকে চিনি। তারা দলের নেতা-কর্মী ঠিক কিন্তু কোনো সুষ্ঠু মানসিক বোধসম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে এ ধরনের বাজে মন্তব্য সম্ভব নয়।” প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদককে নিয়ে এ ধরনের কটুক্তি বা মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।