সাতকানিয়ায় আগুনে বনফুল শো রুমসহ ৩ দোকান পুড়ে ছাই

অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৯ মে, ২০২১ at ১১:০৪ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ার কেরানীহাটে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনফুল শো রুমসহ ৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা।
আজ শনিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেরানীহাট নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট টানা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেরানীহাট নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ক্যান্ডি নামক রেস্তোরাঁয় আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
এক টানা তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। এরই মধ্যে বনফুল শো রুম ও ক্যান্ডি রেস্তোরাঁ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া ওয়ালটন শো রুমের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বনফুল শো রুম ও ক্যান্ডি রেস্তোরাঁর অংশীদার মাস্টার আবু বক্কর বলেন, “কবির আহমদ, আমান উল্লাহ আমান, রাশেদুল ইসলামসহ আমরা চার বন্ধু মিলে অনেক কষ্টের বিনিময় এই দু’টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিল তিল করে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলো।”
তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না। কর্মচারীদের সাথেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে পারিনি। তবে যখন আগুন ধরেছে তখন ক্যান্ডির রান্নাঘর বন্ধ ছিল। আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেও হতে পারে আবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণও হতে পারে।
আবু বক্কর আরো জানান, বনফুল ও ক্যান্ডি রেস্তোরাঁ মিলিয়ে তাদের প্রায় অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করি। পরে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আমাদের সাথে যোগদান করেন। দুই স্টেশনের ৪টি ইউনিট টানা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আজিজুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। উনাদের নেতৃত্বে কাজ করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আশপাশে কোথাও পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে। পানির উৎস থাকলে আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।”
তিনি আরো বলেন, “আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করিনি।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আমি ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। তারা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে শত শত দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হতো।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরেক দফা বাড়ছে ‘লকডাউন’
পরবর্তী নিবন্ধ১১ দেশের ওপর থেকে সৌদি আরবের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে কাল