সাক্ষী সিএনজি চালক কামালের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন

মেজর সিনহা হত্যা মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার মামলার সাক্ষী, সিএনজি চালক কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল সোয়া ১০টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ও বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন রোববার মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামিদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়। আগামীকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা চারদিন এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য চার্জশিটের ১১ জন সাক্ষীকে সমন জারি করা হয়। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম উপলক্ষে মামলার ১৫ আসামিকেও কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। এ আলোচিত মামলার আসামিরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিনদিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম।
গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কঙবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়ার এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনার ৫দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ অর্থবছরে ১৮৮ নথিতে ১১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
পরবর্তী নিবন্ধপিক আয়রন ছিনতাই করতে না পেরে পরিবহনকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা!