পিক আয়রন ছিনতাই করতে না পেরে পরিবহনকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা!

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে আবুল হাসেম ওরফে নীরব(২০) নামে এক পরিবহনকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার ভোরে উপজেলার ফৌজদারহাট ছলিমপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে লাশ উদ্ধার করে সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত আবুল হাসেম নীরব নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার রমেশপুর গ্রামের মোহাম্মদ হাসেমের ছেলে। জানা গেছে, সোমবার রাতে চট্টগ্রাম সদরঘাট জেটি থেকে রড তৈরির উপকরণ পিক আইরন বোঝাই করে ট্রাকটি সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির আবুল খায়ের স্টিল মিলে যাচ্ছিল। মেসার্ম সানি ট্রেডার্স নামে একটি মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ট্রাকে করে ওই পণ্যগুলো ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। সরবরাহকারী ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নীরব ট্রাকে পণ্যের মধ্যে বসা ছিলেন।
ট্রাকটির চালক জানায়, ট্রাকটি চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকা অতিক্রম করার পর ৩/৪ জনের একটি দল যানটির গতিরোধ করে ট্রাকে উঠে পড়ে। চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকটি দ্রুত চালিয়ে ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে যায়। সকালে ট্রাকের ভিতরে নীরবের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় শ্রমিকরা সীতাকুণ্ড থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্ম সানি ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আবদুল আক্কাস সানি বলেন, ছিনতাকারীরা পিক আইরনগুলো ছিনতাই করতে না পেরে ওই কর্মচারীকে হত্যা করেছে।
আবুল খায়ের স্টিল মিল লি: এর ম্যানেজার(এইচ আর এডমিন) ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, সকালে ট্রাকে থাকা পিক আইরনের উপর পরিবহনকর্মীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠিয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রামের সিটি গেইট থেকে সোনাইছড়ির কারখানা পর্যন্ত মহাসড়কের কোন এক জায়গায় ওই কর্মচারীকে ছিনতাইকারীরা শ্বাসরোধ হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ট্রাক চালক জানিয়েছে পথিমধ্যে একদল ছিনতাইকারী গাড়ির গতি প্রতিরোধ করে পিকআইরনগুলো ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে কী কারণে ওই কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে তদন্ত করলে তা জানা যাবে। নিহত ব্যক্তির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাক্ষী সিএনজি চালক কামালের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধতীব্র যানজটে দিনভর ভোগান্তি