বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামটা আসছে সবার আগে। অবশ্য তার সাথে উচ্চারিত হচ্ছে লিটন দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজের নামও। এই তিনজনের মধ্যে ব্যাটিং ও বোলিং পারফরমেন্স, নেতৃত্ব গুণ, ক্রিকেট বোধ, বুদ্ধি, জ্ঞান, দল পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিচারে সাকিব যোজন যোজন এগিয়ে। তাই ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই অনিবার্য্য পছন্দ বলে অভিহিত করেছেন সবাই। ক্রিকেট বোর্ড কর্তারাও এর বাইরে নন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনসহ বোর্ডের বেশির ভাগ কর্তাই অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই ফার্স্ট চয়েজ বলে মন্তব্য করেছেন।
তাহলে অধিনায়ক ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে কেন। তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব ছাড়ার এক সপ্তাহ পরও বিসিবির সভা ডেকেও নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে পারেনি। শুধু তাই নয় জানা গেছে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই সবার পছন্দ। তারপরও দায়িত্বটা দেওয়া হলো বিসিবি সভাপতির উপর। তবে সমস্যাটা নাকি অন্য জায়গায়। যাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, সেই সাকিবই নাকি টেস্ট, টি–টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে দীর্ঘ মেয়াদে দল পরিচালনা করতে নারাজ। বোর্ডের কেউ কেউ বলছেন সাকিব ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নিতে চাচ্ছেনা। এমনও শোনা যাচ্ছে, সাকিব ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আর ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সিই করতে নাকি ইচ্ছুক নন। আবার এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, সাকিব অনেক ভেবে চিন্তে নিজের ব্যক্তি জীবন, কর্মজীবন ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিন ফরম্যাটে জাতীয় দল পরিচালনায় আগ্রহী নন। অন্তত যে কোন এক ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন্সি না করার কথা ভাবছেন সাকিব। সাকিব হয়তো হিসেব করে দেখেছেন তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়ে গেলে তার বর্তমান যে জীবন চরিত, যেভাবে পথ চলা, তা বদলাতে হবে। সব ফরম্যাটে খেলার পাশাপাশি সর্বাধিক মনোযোগ, মনোসংযোগী হতে হবে। তাতে করে তার সারা বছরে তিনি যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলেন, তা সম্ভব হবে না। এর বাইরে তার সামাজিক ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড রয়েছে। মাঝে–মধ্যে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে ঠিকমত সময় দিতে হয়। তিন ফরম্যাটে সারা বছর জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তাও সম্ভব হবে না। সব মিলেই সাকিব অন্তত এক ফরম্যাটে দীর্ঘ সময়ে ক্যাপ্টেন্সি করা থেকে বিরত থাকার কথা ভাবতে চান। এ ধরনের অনেক কারনেই দীর্ঘ মেয়াদে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকতে চান না সাকিব। সে কারণে বাধ্য হয়েই বিসিবি বিকল্প অধিনায়কের খোঁজে রয়েছে। পুরো বিষয়টার যুক্তিযুক্ত সমাধানের জন্যই ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচনে বিলম্ব। তবে এটা ঠিক এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হবেন সাকিবই। এরপর যে কোন এক ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি।











